হাসান নাসরুল্লাহকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

ইসরাইলি হামলায় নিহত হওয়ার পাঁচ মাস পর রোববার আনুষ্ঠানিক জানাজা হয় লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নিহত নেতা হাসান নাসরুল্লাহর। এ সময় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৈরুতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। ইসরাইলের সঙ্গে কয়েক দশকের সংঘাতের মধ্যে শিয়া মুসলিম গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব দেন নাসরুল্লাহ। এক সময় একে আঞ্চলিক প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করেন এই নেতা। এএফপি। রোববার ভোরে বৈরুতের হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ শহরতলির একটি স্টেডিয়ামে নাসরুল্লাহ এবং গোষ্ঠীর অন্য নিহত নেতাদের গণজানাজার জন্য সমর্থকরা জড়ো হন। এ সময় নাসরুল্লাহ এবং হিজবুল্লাহর পতাকার ছবি হাতে দেখা যায় তাদের। গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে হিজবুল্লাহর বেশির ভাগ নেতৃত্ব এবং হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হওয়ার পর নতুন করে তাদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য এই গণজানাজার ব্যবস্থা বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এ সময় নাসরুল্লাহর পাশাপাশি হাশেম সাফিউদ্দিনের জানাজাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর এক সপ্তাহ ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দেন হাশেম। নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসাবে জনসমক্ষে ঘোষণা করার আগেই ইসরাইলি হামলায় তিনি নিহত হন। মৃত্যুর পর নাসরুল্লাহকে তার ছেলে হাদির পাশে অস্থায়ীভাবে সমাহিত করা হয়। তিনি ১৯৯৭ সালে হিজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করে মারা যান। মার্কিন সমর্থিত যুদ্ধবিরতির শর্তে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারজনিত কারণে নাসরুল্লাহর আনুষ্ঠানিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিলম্বিত করা হয়েছিল। এদিকে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ মাস আগে ইসরাইল নাসরুল্লাহকে হত্যা করে এবং নিরাপত্তার কারণে তার প্রকাশ্য জানাজা বিলম্বিত হয়।