সামরিক নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার মার্কিন যৌথ বাহিনী প্রধান এয়ার ফোর্স জেনারেল সি কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। এ ছাড়া পেন্টাগনের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকেও সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় সামরিক বাজেটে বড় পরিবর্তন ও বাহিনীর পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের ফলে পেন্টাগনে অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করবেন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান রাজিন কেইনকে। কেইনকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে বসানো হচ্ছে। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটিকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া এয়ার ফোর্সের ভাইস চিফ অব স্টাফ এবং আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্সের জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পদগুলো সামরিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে একটি অস্থির সময়ের সূচনা করল। যেখানে ইতোমধ্যেই বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপক বরখাস্ত, বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং ট্রাম্পের নতুন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির অধীনে সামরিক বাহিনী ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে। বেসামরিক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মধারী সদস্যদের রাজনীতিমুক্ত রাখা হয়। ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের নীতিই পেন্টাগন বাস্তবায়ন করে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক সিটির মামলা: অভিবাসীদের আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ৮০ মিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে নেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নিউইয়র্ক সিটি। শুক্রবার নিউইয়র্ক সিটির আইন বিভাগ ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক সিটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেডারেল সরকার ৮০ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিল। গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই তা ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো বৈধ প্রক্রিয়া ছাড়া অভিযুক্তরা এখানে যা করেছে তা পূর্বে অনুমোদিত অনুদান তহবিল ফেরত নেওয়ার অনুমতি দেয় না। বিশেষ করে যথাযথ নিয়ম, অনুদানের শর্ত ও শর্তাবলী অনুসরণ করা উচিত ছিল। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা আইন লঙ্ঘন করেছে। পরে এটিকে বৈধ দেখানোর জন্য প্রক্রিয়া অনুসরণের ভান করার চেষ্টা করেছে। দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসন বাড়ার পর কংগ্রেস ২০১৯ সালে শেল্টার অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (এসএসপি) অনুমোদন করে। এটি ফেমা-কে অভিবাসীদের সহায়তায় কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ও স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য অনুদান প্রদান করতে সক্ষম করে। এই অনুদান খাদ্য, পরিবহণ, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের খরচ কভার করতে পারে।