দীর্ঘ ৪৪ বছর পর মুক্তি পেতে যাওয়া কে এই বারঘুতি?

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪২ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি থাকার পর ফিলিস্তিনি বাসিন্দা নায়েল আল-বারঘুতিকে শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে। যা ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ। বারঘুতিকে মূলত ১৯৭৮ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ইসরাইলি বাহিনী গ্রেফতার করেছিল। তিনি মঙ্গলবার তার পরিবারকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, শনিবার যুদ্ধবিরতির সপ্তম ধাপে বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। ফিলিস্তিনি মিডিয়া সেন্টার বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর মেহের নিউজের। বর্তমানে ৬৭ বছর বয়সি বারঘুতি ইসরাইলের কারাগারে সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০০৪ সালে তার বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার অনুমতি পর্যন্ত তাকে দেওয়া হয়নি। এখন তিনি বেশ কয়েকটি শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তার পরিবার জানিয়েছে, মুক্তির শর্ত হিসেবে তাকে এক অজানা দেশে নির্বাসিত করা হতে পারে। বারঘুতি এখন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাকে একজন ইসরাইলি কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে ১১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে তিনি বিশ্বের দীর্ঘতম রাজনৈতিক কারাবন্দি হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখান। ২০১১ সালে অবশ্য হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে একটি বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তার সেই স্বাধীনতা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০১৪ সালে ইসরাইল চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে এবং তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে আরও ১৮ বছর যুক্ত করে। বর্তমান পরিস্থিতি ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে আল-আকসা ঝড় অভিযানের আগে ইসরাইলের কারাগারে প্রায় ৫,২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি ছিলেন। যে সংখ্যা বর্তমানে ১০,০০০ ছাড়িয়েছে। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসন ও ব্যাপক প্রাণহানির পর ইসরাইল হামাসের যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়। যা ১৯ জানুয়ারি থেকে নাজুকভাবে কার্যকর রয়েছে। চলমান যুদ্ধবিরতিটি মূলত তিনটি ধাপে বিভক্ত এবং প্রতিটি ধাপ ৪২ দিন স্থায়ী হবে। প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। এই চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত হামাস ১৯ জন ইসরাইলি ও ৫ জন থাই বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরাইল প্রায় ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।