মধ্যপ্রাচ্য থেকে পাকিস্তানিদের ফেরত পাঠানোর নেপথ্যে

সম্প্রতি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ওমান, সাইপ্রাস, যুক্তরাজ্যসহ ১১টি দেশ থেকে ১৭৩ পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরাধ ও বিভিন্ন আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি সৌদি গেজেটে পবিত্র মক্কায় এক বিশেষ অভিযানের খবর প্রকাশ করে। যেখানে স্থানীয় পুলিশ ১০ পাকিস্তানিকে গ্রেফতারের কথা বলা হয়। বিভিন্ন সময় দায়ের করা ৩১টি আর্থিক জালিয়াতি মামলায় এদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই গ্রুপটি নকল সোনার বার বিক্রি করে প্রায় ২৮ লাখ রিয়াল হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চলে পাকিস্তানিদের বিভিন্ন অপরাধ চক্রে জড়িয়ে পড়ার খবর এবারই প্রথম নয়। প্রায়ই পাকিস্তানিদের মাদকদ্রব্যের ব্যবসা, মানব পাচার, নকল সোনা চোরাচালানসহ নানান অপরধের সংবাদ বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। যার ফলে উপসাগরীয় দেশগুলোতে পাকিস্তানি শ্রমিক গ্রহণের হার অস্বাভাবিকভাবে কমেছে এবং এসব দেশগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনীতিক সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা পাকিস্তানের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো- সৌদি আরব, আরব আমিরাত, ওমান পাকিস্তানিদের অপরাধ চক্র বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে। গত বছরের মে মাসে সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবর অনুযায়ী, পবিত্র নগরী মক্কায় হিরোইন কারবারির অভিযোগে কয়েকজন পাকিস্তানিকে গ্রেফতার করে মক্কা পুলিশ। এছাড়াও ২০২২ সালে মাদকবিরোধী অধিদপ্তর ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩০০ পিস ট্রামাডল মাদক বাজেয়াপ্ত করে যা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আনা হয়। গত বছর পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় প্রকাশিত তথ্য মতে, উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রায় ২৩ হাজার ৫০৬ জন পাকিস্তানি বিভিন্ন অভিযোগে বন্দি আছেন। প্রসঙ্গত মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে প্রচুর পাকিস্তানী বসবাস করেন। সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি বসবাস করেন সৌদিতে— প্রায় ৩০ লাখ। এছাড়া আমিরাতে ১৫ লাখ ও কাতারে ২ লাখ পাকিস্তানি বসবাস করেন।