বাইডেনের আটকে রাখা ভারী বোমার চালান পৌঁছেছে ইসরাইলে

প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরাইলে গেছেন নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। আর একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভারী বোমার একটি চালান ইসরাইলে পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। রোববার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক ঘোষিত ভারী আকাশ থেকে নিক্ষিপ্ত বোমার একটি চালান ইসরাইলে পৌঁছেছে এবং রাত্রে খালাস করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, ইসরাইলে পৌঁছানো এই বোমার চালান, যা ট্রাম্প প্রশাসনের মাধ্যমে ছাড়পত্র পেয়েছে, বিমানবাহিনী এবং আইডিএফের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং এটি ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের আরও প্রমাণ। ফেব্রুয়ারি মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলের কাছে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বোমা, মিসাইল এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা জানিয়েছে, এই বিক্রয় ইসরাইলের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ হুমকির মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এর অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করে এবং আঞ্চলিক হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কাজ করবে। ১৫ মাসব্যাপী ইসরাইলের নৃশংস হামলায় গাজা যুদ্ধে প্রায় ৪৮,৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ২.৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২১ জানুয়ারি থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রথম পর্বের অধীনে ৬ষ্ঠ দফায় জিম্মি মুক্তি বিনিময় হয়েছে। গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর উদ্বেগের প্রেক্ষিতে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ২,০০০ পাউন্ডের বোমার চালান ইসরাইলে পাঠানোর অনুমতি আটকে রেখেছিল, তবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এগুলো অনুমোদন দেন। মার্কো রুবিও রোববার তার আনুষ্ঠানিক সফর শুরু করেছেন এবং তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য শীর্ষ ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রুবিও গাজা যুদ্ধবিরতি এবং ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন, যার আওতায় ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তর করার প্রস্তাব রয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে।