তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ বিশ্বের এক নম্বর তারকা

জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার। তবে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের চ্যাম্পিয়ন না হতেই নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন ২৩ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান। ডোপ পরীক্ষায় দুইবার পজিটিভ হওয়ায় তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সিনার। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) সঙ্গে সমঝোতায় আসায় বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা হয়নি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী তারকার। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মে পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবেন সিনার। তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা পেলেও পরবর্তী গ্র্যান্ড স্লাম মিস হচ্ছে না সিনারের। আগামী ১৯ মে থেকে ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরু হওয়ায় সেটি খেলতে আর বাঁধা নেই এই ইতালিয়ানের। গত বছর আগস্টে ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার পর একটি স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল সিনারকে নির্দোষ রায় দেয়। এরপর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওয়াডা কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট (সিএএস) এর কাছে আপিল করেছিল। সিনারের রক্তে পাওয়া গিয়েছিল অ্যানাবলিক এজেন্ট ক্লোস্টেবল। তখন এই ইতালিয়ান দাবি করেন, সাপোর্ট টিমের এক সদস্যের মেসেজ ও স্পোর্টস থেরাপির কারণে সেটা পাওয়া গেছে। এপ্রিলে সিএএস-এ এই ব্যাপারে শুনানি হওয়ার কথা। তবে দুই পক্ষের সমঝোতার পর সিনার নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন। ওয়াডাও সিএএস-এর কাছে করা আপিল প্রত্যাহার করেছে। ওয়াডা এক বিবৃতিতে জানায়, তিনবারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী এই তারকা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণা করার জন্য এই ড্রাগটি নেননি। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগেই ফিরতে পারবেন সিনার, ‘৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কাটাবেন সিনার। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনিং কার্যক্রমে ফিরতে পারবেন তিনি।’ নিজের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সিনার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি প্রায় এক বছর ধরে আমাকে মানসিকভাবে ভুগিয়েছে এবং পুরো আইনি প্রক্রিয়া শেষ হতে এক বছর শেষ হয়ে যেত। আমি সবসময়ই স্বীকার করেছি যে, আমার দলের জন্য আমিই দায়ী। তাই আমি যে খেলাটা ভালোবাসি সেটির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ওয়াডা-এর প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। আমি তিন মাসের স্থগিতাদেশের ভিত্তিতে সব প্রক্রিয়া সমাধানের জন্য ওয়াডার প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।’