বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে কৃষকদের মারধরের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ বিএসএফের

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সীমানার ভেতের ঢুকে পাঁচ কৃষককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের মাদধরের ঘটনায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়েছে। শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিএসএফের বাংলাদেশি কৃষকদের মারধরের কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। এসময় দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ। আজ দুপুর ১.৪০ মিনিট থেকে ২.৩৪ মিনিট পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার গোরকমন্ডল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৪ নম্বর সাব পিলারের পাশে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিজিবির পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শাকিল আলম ও বিএসএফের পক্ষে ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার অমিত কুমার নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তের শুন্য রেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে মাঠে কাজ করা সাধারণ কৃষকদের এলোপাথাড়ি মারধর করে আহত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। জবাবে ভারতীয় বিএসএফ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। এ ঘটনায় জড়িত বিএসএফ সদস্যেদের শাস্তিসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। বৈঠক শেষে বিজিবি ও বিএসএফের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণা নন্দ বকসী সীমান্তের ৯৩০ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৮ নম্বর সাব–পিলারের পাশে বাংলাদেশের কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের ১০/১২ জন বিএসএফ সদস্য হরিদাস খামার এলাকার কাঁটাতারের বেড়ার ৩ নম্বর গেট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে মাঠে কাজ করা কৃষকদের গালাগালি করতে থাকে। কৃষকরা প্রতিবাদ করলে বিএসএফ সদস্যরা লাঠি দিয়ে কৃষকদের এলোপাথাড়ি পেটাতে শুরু করে। কৃষকরা ভয়ে গ্রামের দিকে দৌড়াতে থাকলে বিএসএফ তাদের পিছু নিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএসএফকে ধাওয়া করলে তারা কাঁটাতারের ভেতরে পালিয়ে যায়। এ সময় বিএসএফের মারপিটে পাঁচ কৃষক আহত হয়। তারা হলো–কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামের মৃত ইসরাইলের ছেলে শামসুল হক (৫৫), মৃত খোকা মামুদের ছেলে জাবেদ আলী (৬০), মুন্নাফ হোসেনের ছেলে কাসেম আলী (৪৮), মৃত মুকুল ইসলামের ছেলে রিপন মিয়া (৩৫) ও কাশেম আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৮)। এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শাকিল আলম জানান, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশি কৃষকদের মারধরের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জবাবে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর এবং জড়িত বিএসএফ সদস্যদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।