শনিবার মুক্তি পেতে যাওয়া ৩ ইসরাইলি জিম্মির নাম ঘোষণা

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের অংশ হিসেবে চলমান বন্দি বিনিময়ের ষষ্ঠ ধাপে শনিবার আরও তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সামরিক শাখা সরায়া আল-কুদস শুক্রবার ওই তিন জিম্মির নাম ঘোষণা করেছে। এদিন এক বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, আল-কাসসাম ব্রিগেড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শনিবার আরও তিন ইসরাইলি বন্দির মুক্তি দেওয়া হবে। তারা হলেন- আলেকজান্ডার (সাশা) টারবানভ, সাগুই ডেকেল-চেন এবং ইয়াইর হর্ন। অন্যদিকে আল-কুদসও এক বিবৃতিতে টারবানভকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র আবু হামজা বলেন, সরায়া আল-কুদস সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শনিবার ইসরাইলি বন্দি আলেকজান্ডার টারবানভকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার হামাস নিশ্চিত করে যে, তারা স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলবে। হামাস জানিয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের চুক্তি লঙ্ঘনজনিত প্রতিবন্ধকতা দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেছে। সর্বশেষ এই মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন হামাস সোমবার ঘোষণা করেছিল যে, তেলআবিব চুক্তির মানবিক শর্তাবলী লঙ্ঘন বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখবে। এদিকে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় হামাস এ পর্যন্ত ইসরাইলি কারাগারে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ধারাবাহিকভাবে ২১ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর মূলত ১৬ জন ইসরাইলি ও পাঁচজন থাই বন্দি মুক্তি পেয়েছে। বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ৫৬৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে তিন সপ্তাহে মোট ৩৩ জন ইসরাইলি ও ১৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরাইল জানিয়েছে, ৩৩ জনের মধ্যে ৮ জন আর জীবিত নেই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলার সময় হামাস মোট ২৫১ জনকে আটক করেছিল। জবাবে ইসরাইল গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক আগ্রাসন চালায় এবং এতে ৪৮ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স ও আনাদোলু