যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে যা বলল ইরান

ইয়েমেনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।দেশটির জাতিসংঘ মিশন বলেছে, ইরান বরাবরই ইয়েমেনে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে সমর্থন করে আসছে। স্থানিয় সময় বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে এ সংক্রান্ত এক চিঠি দিয়েছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। ইরানি বার্তা সংস্থা মেহের শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওই চিঠিতে ইরানী মিশন উল্লেখ করেছে, ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার জন্য তেহরানকে দোষারোপ করে ইসরাইলের অপরাধে নিজের সম্পৃক্ততা ঢাকতে চাচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে অস্ত্র ও বিপুল আর্থিক সহায়তা দিয়ে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালাতে সাহায্য করছে। এর বিপরীতে ইরান আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইরানের মতে, ইয়েমেন সংকটের সমাধান কেবল একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্ভব। যা দেশটির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় ঐক্য ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করবে। ইরানি মিশন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরাইল গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইয়েমেনের সংহতি প্রদর্শনের জবাব দিতেই মূলত তারা (আমেরিকা-ইসরাইল) এই হামলাগুলো চালিয়েছে। এ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইরানি মিশন বলেছে, ইয়েমেন সংকটের শুরু থেকেই আমরা অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধ, যুদ্ধবিরতি, সব পক্ষের মধ্যে অর্থবহ সংলাপ এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়া শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি। তেহরান জোর দিয়ে বলেছে, ইয়েমেনের ভবিষ্যৎ তো সেখানকার জনগণই নির্ধারণ করবে। স্থায়ী শান্তি একমাত্র কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণের মাধ্যমেই সম্ভব। সামরিক হস্তক্ষেপ বা মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে নয়।