সিমলা, মনীষাদের অসম প্রেমের এই ৭ সিনেমা দেখেছেন কি

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৮:০৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

‘ই তু মামা তামবিয়েন’, ২০০১ আলফোনসো কুয়ারোনের এই ক্ল্যাসিক কামিং অব এজ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০১ সালে। সমালোচকদের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত এই মেক্সিক্যান সিনেমা অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোবে মনোনয়ন পেয়েছিল। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা দুই কিশোর ও এক নারীর অদ্ভুত রোড ট্রিপের গল্প নিয়ে নির্মিত হয় সিনেমাটি। মারিবেল বেরদু, গায়েল গার্সিয়া বের্নাল ও দিয়েগো লুনাকে দেখা গিয়েছিল পর্দায়। সিনেমাটি তৈরি হয়েছিল অভিনয়শিল্পীদের ইমপ্রোভাইজেশনে, সেভাবে চিত্রনাট্য ছিল না; যা ছিল সেটাও পাত্র–পাত্রীদের দেখাননি কুয়ারন। সিনেমায় হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়, দেখার সময় মনে হবে যেন এ তথ্যচিত্র! ‘সামথিংস গট্টা গিভ’, ২০০৩ নিউইয়র্কভিত্তিক রেকর্ড কোম্পানির কর্ণধার হ্যারি সানর্বন। ৬৩ বছর বয়সী হ্যারির এক অদ্ভুত স্বভান, ৩০ বছরের কম বয়সী নারীদের সঙ্গে ডেট করেন! এমন গল্প নিয়ে ২০০৩ সালে এই রোমান্টিক কমেডি সিনেমাটি বানিয়েছিলেন ন্যান্সি মেয়ার্স। জ্যাক নিকোলসন, কিয়ানু রিভস, ডায়ান কিটন অভিনীত সিনেমাটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পায়, প্রায় সবগুলো বড় পুরস্কারে মনোনয়ন পায়। এ ছবিতে অভিনয় করে গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান ডায়ান কিটন। ‘এক ছোটিসি লাভ স্টোরি’, ২০০২ এক কিশোর নজর রাখে প্রতিবেশীর জানালায়। তার টেলিস্কোপে উঠে আসে পাশের বাড়ির আবেদনময়ী এক তরুণীর ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই। এমন গল্প নিয়ে শশীলাল কে নায়ারের সিনেমাটি ২০০২ সালে মুক্তির পরেই বিতর্কের ঝড় তুলেছিল। ছবিতে মনীষা কৈরালাকে দেখা গিয়েছিল আবেদনময়ী চরিত্রে, কিশোর ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেন। আপত্তিকর দৃশ্য আর নীতিনৈতিকতা ভাঙার অভিযোগে অনেকে ছবিটির মুক্তি ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। বিদেশি সিনেমার দর্শকের কাছে অবশ্য বিষয়বস্তু নতুন কিছু ছিল না, এই থিমে অনেক সিনেমাই নির্মিত হয়েছে। আর ‘এক ছোটিসি লাভ স্টোরি’ সিনেমাটিই তো নির্মিত হয়েছে পোলিশ নির্মাতা ক্রিশ্চটফ কিশলোস্কির ‘আ শর্ট ফিল্ম অ্যাবাউট লাভ’ অবলম্বনে। ‘অ্যান এডুকেশন’, ২০০৯ ১৯৬১ সালের লন্ডন। ১৬ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী জেনি মেলর অক্সফোর্ডে পড়ার স্বপ্ন দেখে। জেনি প্রবল বৃষ্টির রাতে বাসস্টপে অপেক্ষা করছিল। তখন দৃশ্যপটে হাজির হন ডেভিড গোল্ডম্যান। সেই বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর জেনির জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। সেটা কীভাবে? জানতে হলে দেখতে হবে ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া লোন শেরফিগের সিনেমাটি। এটি তৈরি হয়েছিল সাংবাদিক লিন বারবারের একটি স্মৃতিকথার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। সানড্যান্স উৎসবে প্রদর্শনের পর থেকেই ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় সিনেমাটি, অস্কারে তিন বিভাগে মনোনয়ন পায়। এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেন কেরি মুলিগান ও পিটার সারসগার্ড। ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’, ২০২১ ২০১৪ সালে শুটিং শুরু হয় অসম প্রেমের গল্পের সিনেমা ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’-এর। রুবেল আনুশ পরিচালিত প্রথম সিনেমাটি ২০২১ সালে ইউটিউবে মুক্তি পায়। ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিমলা ও মামুন। কলেজপড়ুয়া এক তরুণের সঙ্গে বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে আসা এক তরুণীর প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে সিনেমাটিতে। এতে আরও অভিনয় করেছেন কাজী হায়াৎ, শিমুল খানসহ অনেকে। ‘বেবি গার্ল’, ২০২৪ গত বছর সমালোচকদের কাছে যে কয়েকটি সিনেমা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে, ‘বেবিগার্ল’ তারই একটি। হেলিনা রেজিনের সিনেমাটি চলতি বছর ভেনিস উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছিল। এ ছবির জন্য উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান নিকোল কিডম্যান। ডাচ নির্মাতা হেলিনা রেজিনের চতুর্থ সিনেমা ‘বেবিগার্ল’। এই ইরোটিক থ্রিলার সিনেমার অন্যতম প্রযোজকও তিনি। ‘বেবিগার্ল’-এর গল্প এক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রোমি ও সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষানবিশ স্যামুয়েলকে নিয়ে। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে রাখঢাক ছাড়াই। রোমি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যান এবং ‘স্যামুয়েল’ চরিত্রের অভিনেতা হ্যারিস ডিকসন। ‘গার্লস উইল বি গার্লস’, ২০২৪ হিমালয়ের কোলে এক শৈলশহরের আবাসিক স্কুলের চৌহদ্দিতে বলা গল্প। মীরা ক্লাসে ফার্স্ট গার্ল। সব ঠিকঠাকই চলছিল। তবে গল্প গতি পায় শ্রীনিবাস আসার পর। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে দুনিয়ার নানা প্রান্তের স্কুলে পড়েছে সে। বিদেশ থেকে এসে সটান ভর্তি হয়েছে মীরার স্কুলেই। এরপর যা হয়, অবধারিতভাবেই মীরা আর শ্রীনিবাসের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। মীরার মা অনিলার সঙ্গেও তৈরি হয় শ্রীনিবাসের ঘনিষ্ঠতা। এমন গল্প নিয়ে গত বছর সানড্যান্স উৎসবে দুই পুরস্কার পেয়েছিল শুচি তালাতির ছবিটি। বোর্ডিং স্কুল নিয়ে দুনিয়ার নানা প্রান্তে নানা ধরনের সিনেমা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ জানুয়ারির এই ১০ সিনেমা–সিরিজ না দেখলেই নয় ঘটনা, টেনশন আর নস্টালজিয়া-যোগে যেগুলোর বেশির ভাগই উতরে যায়, এটিই তেমন একটি সিনেমা। এতে অভিনয় করেছেন প্রীতি পাণিগ্রাহী, কানি কুশ্রুতি ও কেশব বিনয় কিরণ। তথ্যসূত্র: ইন্ডিওয়্যার, আইএমডিবি