টঙ্গীতে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/image-530417-1739372105-300x175.jpg)
তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম শবে বরাত এর পূন্যময় রজনীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম রজনী শবেবরাত হওয়ায় মসল্লীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জানা গেছে, টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে এবারের ইজতেমা আরও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে৷ এই প্রথম বারের মতো শবে বরাতের পবিত্র রাতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকার মহাপরিচালক বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও গবেষক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ বলেন, এমন পবিত্র ও বরকতময় মর্যাদাপূর্ন রাতে বিশ্ব ইজতেমার মতো বৃহৎ ইসলামী জমায়েতের আয়োজন নিঃসন্দেহে এক অনন্য ও ঐতিহাসিক ঘটনা। এই রাতের ফজিলতের কারণে এবারের ইজতেমা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও আধ্যাত্মিক বরকতে ভরপুর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ রাতে মুসলীম উম্মাহর জন্য লাখ লাখ মানুষ আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবেন এই ময়দানে সমবেত হয়ে। তিনি বলেন, শবে বরাত ইসলামিক বরকতময় রাতগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেখানে বান্দাদের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত ও মাগফিরাতের দরজা উন্মুক্ত হয়। হাদিস শরিফে শবে বরাতের রাতকে গুনাহ থেকে মুক্তি, তাকদির নির্ধারণ এবং দোয়া কবুলের রাত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বান্দার এক বছরে ভাগ্য নির্ধারন করা হয়। তার গোনাহ মাফ করা হয়। এই রাত মুসলমানদের কাছে বিশেষ সম্নান ও মর্যাদার। সেই সাথে বিশ্ব ইজতেমায় তারা এই রাতে ঈমান আমলের বয়ান শুনে মুসলমানরা নিজেদেরকে আরো পূত-পবিত্র করে তুলবেন বলে অনেকেই আশা করছেন। আখেরী মুনাজাত ছাড়াও বিশ্ব ইজতেমায় শবে বরাতের রাতে মুসল্লীরা দেশ জাতী ও মুসলীম উম্মাহর শান্তি কল্যান কামনা করে বিশেষ দু'আ করবেন। এদিকে ইজতেমার ২য় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো: সায়েম বলেন, দু-আ কবুলের রজনী শবে বরাতে এবছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশ বিদেশি মুসল্লীদের মাঝে বাড়তি এক ধর্মীয় আবেগ কাজ করছে। দলে দলে লাখো মুসল্লী ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। দেশ বিদেশের লাখো মুসল্লীর সাথে এই রাতে দু'আ ও আমলে কাটাবেন সাধারণ মানুষজন। পরদিন মুসলমানরা রোজা পালন করে ঐতিহাসিক জুম্মার নামাজে শরীক হবেন। আমরা জুম্মার নামাজে ২০ লক্ষ মুসল্লীর উপস্থিতি আশা করছি। শবে বরাতের রাত বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ সুযোগ, আর এবারের বিশ্ব ইজতেমা সেই সুযোগকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে। আমাদের সবার উচিৎ এই বরকতময় ইজতেমায় শরিক হয়ে ইসলামের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত করা এমনটাই মনে করছেন বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্বের আয়োজকরা।