এবার বিশ্বমঞ্চে উপেক্ষিত হলেন নরেন্দ্র মোদি!

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৩১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশটির গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করতে কাজ করছেন, এবার এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন যা তাকে বিশ্বমঞ্চে বেশ বিব্রত করেছে। ভারতের জন্য একাধিক কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করলেও, সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি পড়েছেন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে, যা সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। ফ্রান্সের প্যারিসে সোমবার শুরু হয়েছে দুই দিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই শীর্ষ সম্মেলন, যেখানে বিশ্বের ১০০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা এবং বৈজ্ঞানিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে অংশ নিতে ফ্রান্সে যান নরেন্দ্র মোদিও। তবে, যে দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা মোদির জন্য বিশেষভাবে বিব্রতকর। এই সম্মেলনের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের পাশে বসে আছেন নরেন্দ্র মোদি। এক পর্যায়ে সেখানে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো উপস্থিত হন। সবাই হাত বাড়িয়ে কুশল বিনিময় করছিলেন, কিন্তু মোদি যখন হাত বাড়ান, তখন ম্যাক্রো তাঁকে একেবারে এড়িয়ে যান। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি দেখে সবার চোখ আটকে যায়। যদিও মোদি দ্রুত নিজেকে সামলে নেন এবং পাশে বসে থাকা অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ ঘটনার পর নেটিজেনদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে ম্যাক্রোর কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, আবার কিছু মানুষ মনে করছেন এটি অনিচ্ছাকৃত ঘটনার ফল। তবে একথা সত্যি, যে পরিস্থিতি মোদির জন্য যে কতটা লজ্জাজনক ছিল, তা পরিষ্কার। এটি এমন এক ঘটনা, যা বিশ্বমঞ্চে একজন রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কনফারেন্স শেষে, আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো আবারো মোদির পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। ফ্রান্স এবং ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘকাল ধরে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে। দুটি দেশের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে, এবং এর আগে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে, বিশ্বনেতাদের সামনে মোদিকে উপেক্ষা করে ম্যাক্রো ভারতের জন্য কী বার্তা দিলেন, সেটি এখনও এক রহস্য। সেক্ষেত্রে, এর পরিণতি কী হতে পারে তা সময়ই বলে দেবে। তবে, একথা নিশ্চিত যে, এই ঘটনা মোদি এবং তার সরকারের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য এমন একটি পরিস্থিতি সত্যিই হতাশাজনক, বিশেষ করে যখন তিনি এতদিন ধরে দেশটির আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন। বিশ্বনেতাদের এমন আচরণ কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর কী প্রভাব ফেলবে, সেটিই ভবিষ্যতে পরিষ্কার হবে।