ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন যেসব বাংলাদেশি ক্রিকেটার

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সতীর্থকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় পাঁচ বছরের জন্য নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ আশরাফুলদের মতো ক্রিকেটাররাও ফিক্সিং সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন। মোহাম্মদ আশরাফুল ২০১৩ সালে দেশের ক্রিকেটে সে সময়ের জ্বলজ্বলে নাম মোহাম্মদ আশরাফুলের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) ম্যাচ পাতানোর সে অভিযোগ পরে স্বীকার করে নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চান তিনি। তাতে অবশ্য পার পাননি। তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৮ সালে ক্রিকেটে নিজের হারানো সাম্রাজ্য আর ফিরে পাননি আশরাফুল। এখন ক্রিকেট খেলা ছেড়ে বরং বিশ্লেষক এবং কোচ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। সাকিব আল হাসান তর্কসাপেক্ষে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম সাকিব আল হাসান। তার বিরুদ্ধে সরাসরি ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠেনি, তবে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা কর্তৃপক্ষকে যথাসময়ে অবহিত না করায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হয় তাকে। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফিরেছেন। জাতীয় দলেও পরে নিয়মিত-ই খেলেছেন। নাসির হোসেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ নাসির হোসেন। নানা ঘটনায় বরাবরই খবরের শিরোনাম হয় তার নাম, যার বেশিরভাগই অবশ্য নেতিবাচক কারণে। নাসিরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের নভেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল আইসিসি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে ২০২১ সালের আসরের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হলেও সেটি ব্যাহত হয়—এমন জানিয়েছিল আইসিসি। নাসিরসহ আটজনের বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। গত বছর জানুয়ারিতে শুধু নাসিরকেই নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে আইসিসি। শাস্তির শর্ত পূরণ করতে পারলে আগামী ৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাসির ফিরতে পারবেন বলে জানায় আইসিসি। সোহেলি আক্তার এবার ফিক্সিংয়ের জেরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তার। ২০২৩ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে নিজে দলে না থাকলেও স্কোয়াডের এক সদস্যকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ দুই বছর তদন্ত করে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। তাদের প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোহেলিকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।