‘ননী ছিঃ ছিঃ ছিঃ’ থেকে রেহাই পেল না ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচও
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/Noni-67aadb1076a1a-300x169.png)
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওড়িয়া ভাষার একটি গান—‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। এই গানটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শোনা যাচ্ছে, আর অনেকেই এর সঙ্গে রিলস তৈরি করছেন। ভাইরাল এই গানের তোড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেকা দায়। তবে গানটির জনপ্রিয়তা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। এবার সেটি বাজানো হলো ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও, যা অনুষ্ঠিত হয় কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে। ম্যাচ চলাকালীন একাধিকবার বাজানো হয় এই গান, যা শুনে হাসি চাপতে পারেননি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। মুহূর্তটি ধরা পড়তেই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু কটকের এই ম্যাচ শুধু গান বাজানোর জন্যই নয়, বরং আয়োজনে চরম অব্যবস্থাপনার জন্যও সমালোচিত হয়েছে। দীর্ঘ ছয় বছর পর কটকে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ, তবে ওড়িশা ক্রিকেট সংস্থার ব্যবস্থাপনা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। খেলার মাঝপথে স্টেডিয়ামের একটি ফ্লাডলাইট হঠাৎ করেই নিভে যায়, যার ফলে ৩৫ মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ থাকায় হতাশা দেখা যায় ক্রিকেটারদের মধ্যে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে নামার সময় রোহিত শর্মার মুখে অসন্তোষের ছাপ স্পষ্ট ছিল। এদিকে মাঠে প্রবল শব্দে গান বাজানোয় অসন্তুষ্ট হয়ে সরাসরি ডিজেকে গালাগাল করেন ভারতীয় অধিনায়ক। সেই মুহূর্তের ভিডিওও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্টেডিয়ামের আলো নিভে যাওয়ার এই ঘটনাটি ছিল ম্যাচের অন্যতম বিতর্কিত মুহূর্ত। আশ্চর্যের বিষয়, আলো নিভে যাওয়ার সময়ও সেই ভাইরাল গান বাজতে থাকে স্টেডিয়ামে। ফলে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজও এই গানের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তবে গানটির জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশেও এটি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও অনেকেই মনে করছেন এটি নতুন গান, বাস্তবে গানটি প্রথম রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। পরে ২০০৫ সালে মানবভঞ্জন নায়েকের পরিচালনায় গানটির মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হয়। প্রায় দুই দশক পর হঠাৎ করেই গানটি আবার নতুন করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যা মাঠ থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত সাড়া ফেলে দিয়েছে।