প্রকৃতপক্ষেই লেখক পাঠক প্রকাশকের মিলনমেলা

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:২৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

অমর একুশে বইমেলা এখন প্রকৃতপক্ষেই লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। বিকাল হলেই সবার যেন একটাই গন্তব্য-বইমেলা। সেখানে শেষ সময় পর্যন্ত সবাই আড্ডা দেওয়া, সাহিত্যের আলোচনা আর বইকে ঘিরে নানা মুখরোচক আলোচনায় মেতে থাকেন। অন্যদিকে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল নতুন বইয়ের খবরাখবর জানানোর পাপাপাশি প্রচার করেন লেখকদের সাক্ষাৎকার। ব্লগার, ইউটিউবাররাও প্রতিদিনই বইমেলায় আসেন। বইয়ের রিভিউ দেন। জানান বইমেলার খবরাখবর। মেলায় এখন একটা ছন্দ পাওয়া যায়। প্রতিদিনই পাঠক আসেন। তারা বই দেখেন। ঘুরেফিরে সময় কাটান। অনেকে বই কেনেন। প্রতিদিনই এখন বইয়ের বিক্রি হয়। প্রকাশকরা বলছেন, বইয়ের বিক্রি বাড়ছে। প্রতিদিনই পাঠক আসছেন এবং তাদের প্রিয় লেখকের বই কিনছেন। ঐতিহ্য প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, এবারের বইমেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক প্রথম দিন থেকেই বইমেলায় বেচাকেনা হচ্ছে। বইয়ের বিক্রি শুরু থেকেই বেশ ভালো। আমরা ঐতিহ্য থেকে প্রতিদিনই নতুন নতুন বই পাঠকের জন্য নিয়ে আসছি। বিক্রি এভাবে অব্যাহত থাকলে আমরা আশা করছি বইমেলায় এবার ভালো ব্যবসা হবে। বিকালে বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ড. মনিরুজ্জামানের সময়রেখা : ভাষাবিজ্ঞানের ত্রিকালদর্শী পরিব্রাজক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুর ইমতিয়াজ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সালমা নাসরীন ও মামুন অর রশীদ। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মনসুর মুসা। প্রাবন্ধিক বলেন, ড. মনিরুজ্জামান ভাষাবিজ্ঞানের দুরূহ পথে শুধু সরলরৈখিকভাবেই পরিভ্রমণ করেননি, বরং নজর দিয়েছেন অতীতের ভাষিক নিরীক্ষায় এবং ভবিষ্যতের ভাষা-গবেষণার সুলুক সন্ধানে। প্রতিভার মৌলিকত্বে তিনি তার স্বকীয় অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য এবং উপভাষা গবেষণায় অসামান্য অবদানের কারণে ভাষাবিজ্ঞানের জগতে যেমন তার অবিস্মরণীয় খ্যাতি রয়েছে, তেমনই সুসাহিত্যিক ও সাহিত্য-বিশ্লেষক হিসাবেও বাংলা সাহিত্যজগতে তার নাম সুবিদিত। তিনি বাংলাদেশে অনুসৃত ভাষাবিজ্ঞানের যাবতীয় ধারাসমূহের বিন্যাস করেছেন। একই সঙ্গে তার রচনায় তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের বিকাশমানতার ধারা প্রতিভাত হয়েছে। এদিন লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কুদরত-ই-হুদা ও হিজল জোবায়ের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সোমবার ছিল মো. আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আরশিনগর বাউল সংঘ’, সানজিদা আহমেদ লাবণ্যের পরিচালনায় নৃত্যসংগঠন ‘নৃত্য সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং মজিবুর রহমান বিরোহীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিরোহী শিল্পীগোষ্ঠী’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আব্দুল লতিফ শাহ, বাউল সুভাষ বিশ্বাস, আবুল কালাম আজাদ, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, এলাহী মাসুদ, কাজী দেলোয়ার হোসেন, এটিএম গোলাম মোস্তফা, পিয়াল হাসান ও শামিমা সুলতানা।