১৮৩ ফিলিস্তিনির মুক্তি দিল ইসরাইল, হাসপাতালে ভর্তি ৭
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/Palestinian-prisoners-release-67a788d6c184a-300x169.jpg)
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় শনিবার পঞ্চম দফায় আরও ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। এদের মধ্যে ৭ জনকে গুরুতর শারীরিক অবস্থার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে, স্থানীয় সময় শনিবার সকালের দিকে আরও ৩ জন ইসরাইলি জিম্মির মুক্তি দেয় হামাস। এদিন বিকালে রেড ক্রসের একটি বাস ৪২ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে নিয়ে পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে পৌঁছায়। সেখানে ভোর থেকেই অপেক্ষায় থাকা উল্লসিত জনতা তাদের স্বাগত জানায়। এই বন্দিরা রামাল্লার কাছে ওফার সামরিক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এটি ছিল গাজা অস্ত্রবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ। যা গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর রয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্যানুযায়ী, মুক্তি পাওয়ার পর অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনিকে গুরুতর শারীরিক অবস্থার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হামাস পরিচালিত বন্দি তথ্য অফিস জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের বহনকারী দুটি বাস ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কেরেম শালোম সীমান্ত পার হয়ে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালে পৌঁছেছে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাজার হাজার মানুষ ওই শহরে জড়ো হয়ে বন্দিদের উষ্ণ সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এর আগে হামাস তিনজন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। বিনিময়ে ইসরাইল এই ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত গাজা অস্ত্রবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় হামাসের কাছ থেকে মোট ১৬ জন ইসরাইলি বন্দি ও ৫ জন থাই শ্রমিক মুক্তি পেয়েছেন। যার বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া এই অস্ত্রবিরতি চুক্তিটি মূলত গাজায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ বন্ধ করেছে। এই যুদ্ধে ৪৭,৫৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ১৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত নভেম্বর মাসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া গাজায় পরিচালিত যুদ্ধের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে।