সংলাপে বসতে নতুন প্রস্তাব সরকারের, পিটিআইয়ের অবস্থান অনিশ্চিত

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

পিটিআইকে (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক জানিয়েছেন, সরকার কখনোই সংলাপের দরজা বন্ধ করেনি এবং আলোচনার জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আয়াজ সাদিক বলেন, সরকার সবসময় সংলাপের পক্ষে ছিল, এখনও রয়েছে। পিটিআই চাইলে তাদের অভ্যন্তরীণ অনুমোদন নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। তিনি আরও বলেন, পিটিআইয়ের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ এখনো চালু রয়েছে এবং দুই পক্ষের আলোচনার জন্য গঠিত কমিটিও বাতিল হয়নি। তবে পিটিআই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় বসার বিষয়ে সম্মতি দেয়নি। পিটিআইয়ের অনড় অবস্থান ও সরকারের প্রতিক্রিয়া গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিরোধী দল পিটিআইকে আলোচনায় বসার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। তবে পিটিআই দাবি জানায়, ২০২৩ সালের ৯ মে ও ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বরের ঘটনাগুলোর তদন্তের জন্য দুটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলোচনার জন্য পিটিআইকে লিখিতভাবে তাদের দাবি জানাতে বলা হয়েছিল এবং সরকারও লিখিত জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু ২৮ জানুয়ারি নির্ধারিত চতুর্থ দফার সংলাপে পিটিআই অংশ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, একটি সংলাপ সফল হতে দুই পক্ষের আগ্রহ থাকা জরুরি। পিটিআইকে আলোচনায় ফিরতে হবে, যাতে দেশ অস্থিরতার পরিবর্তে স্থিতিশীলতার পথে এগোতে পারে। পিটিআইয়ের সংলাপ প্রত্যাখ্যান ও নতুন কৌশল বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের নির্দেশে সরকার-পিটিআই সংলাপ কমিটি বাতিল করা হয়েছে। পরিবর্তে তারা একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে, যা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে বড় ধরনের রাজনৈতিক জোট গঠনের চেষ্টা করবে। পিটিআইয়ের মুখপাত্র সাহিবজাদা হামিদ রেজা বলেন, আমরা আমাদের মূল দাবিতে অটল রয়েছি—বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে। সরকার কৌশলে সময়ক্ষেপণ করছে এবং সংলাপের নামে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারের আলোচনাকারী দলের মুখপাত্র সিনেটর ইরফান সিদ্দিকী বলেন, পিটিআই যেভাবে হঠাৎ সংলাপ বন্ধ করল, তা বোধগম্য নয়। তা রা আমাদের লিখিত জবাবের জন্য অপেক্ষা না করেই সংলাপ বাতিল করেছে। বর্তমানে পিটিআই ও সরকারের মধ্যে আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো সংলাপের দরজা খোলা রাখা হলেও পিটিআই তাদের অবস্থান কঠোর করেছে। ত বে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে দুই পক্ষ আলোচনায় ফিরতে পারে, বিশেষ করে যদি রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক জটিলতা বেড়ে যায়।