গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ‘নিখোঁজ’

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক সহসম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তর (৩০) নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার হদিস মিলছে না; পরিবারের দাবি তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অন্তরের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছয়জনের নামে অভিযোগ করেছেন তার ভাই। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা অন্তর। পায়রা বন্দর ও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়ে যাচ্ছেন তিনি। দিচ্ছেন প্রতিবাদে নেতৃত্বও। অন্তরের ভাইয়ের অভিযোগ, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা তার ভাইকে অপহরণ করেছে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান শুক্রবার টেলিফোনে অন্তরের নিখোঁজ থাকার তথ্য নিশ্চিত করে দ্রুত তার সন্ধান দেওয়ার দাবি করেছেন। অন্তরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও কলাপাড়া পৌরশহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান অন্তর। কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হন তিনি। এরপর থেকেই তার হদিস মিলছে না। বন্ধ পাওয়া যায় তার মোবাইল ফোনও। পরে থানা পুলিশের ফোনে তারা থানায় আসে। অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন জানান, কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়কের রজপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক থেকে পার্কিং করা অবস্থায় অন্তরের মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। এর একটু সামনে একটি হেলমেট পাওয়া যায়। পরে মোটরসাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে তারা। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, মোটর সাইকেলটি পার্কিং করা দেখে পায়রা পোর্ট ৪ লেন সড়কের নিরাপত্তাকর্মীরা থানায় বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় যানটি উদ্ধার করে। তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেলের সামনে রবিউল আউয়াল অন্তর লেখা রয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। অনুসন্ধান করছেন।’ এ ঘটনায় পুলিশ নিজে বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। আর অন্তরের বড় ভাই পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিয়েছেন। অন্তরের বাবা মো. সোলায়মান বলেন, ‘আমার ছেলে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায়, তাদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। এ নিয়ে তারা আমার ছেলেকে অপহরণ করতে পারে।’