ট্রাম্পের অর্থসহায়তা স্থগিত, সংকটে ৬,২০০ সাংবাদিক ও ৭০৭ সংবাদমাধ্যম

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএআইডি ২০২৩ সালে ৬,২০০ জন সাংবাদিক, ৭০৭টি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ও ২৭৯টি মিডিয়া-কেন্দ্রিক এনজিওকে সহায়তা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তবে চলতি বছরের শুরুতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই এসব অর্থসহায়তা স্থগিত ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য বিপদ সংকেত বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। আরএসএফ জানায়, ২০২৫ সালের মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা বাজেটে ২৬৮.৪ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা স্বাধীন গণমাধ্যম এবং মুক্ত তথ্যপ্রবাহের জন্য বরাদ্দ করা হয়। এই তহবিল থেকে বড় ও ছোট- উভয় সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া হতো। বিশেষ করে দমন-পীড়ন ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কাজ করা সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা ছিল। যা এখন চরম সংকটে পতিত হয়েছে। আরএসএফ জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান অনুদানদাতা ছিল ইউএসএআইডি। যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের গণমাধ্যম চরম সংকটে পড়ে। অন্তত ৯০ শতাংশ ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম আন্তর্জাতিক অনুদানের ওপরেই নির্ভরশীল। সেখানে আগামী তিন বছরে পুনর্গঠনের জন্য অন্তত ৯৬ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও তার প্রভাব এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈশ্বিক অর্থসহায়তা স্থগিত করায় সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম ও এনজিওগুলো এখন অভূতপূর্ব অনিশ্চয়তার সম্মুখীন। কয়েকটি ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইতোমধ্যেই কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তারা এখন বিকল্প অর্থায়নের উৎস খুঁজছে, যা সম্পাদকীয় স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এহেন সংকটে আরএসএফ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, এই তহবিল স্থগিত হলে অনেক সংবাদমাধ্যম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি বিকল্প তহবিলের উৎসের কারণে সাংবাদিকতা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আর এজন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে আরএসএফ। বলেছে, স্বাধীন গণমাধ্যমগুলোর টিকে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সংস্থাটির মতে, স্বাধীন গণমাধ্যম রক্ষায় আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন, নয়তো বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকতার স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। সূত্র: আনাদোলু