অবশেষে মুখ খুললেন পপি

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

এক সময়ের দর্শকনন্দিত চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। ২০১৯ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি ‘দি ডিরেক্টর’। এরপর কয়েকটি সিনেমায় শূটিংয়ের খবর পাওয়া গেলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। এরপর কোথাও কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা মিলছিল না একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রীর। বিয়ে ও সন্তান জন্মের খবর নিয়েও মুখ খোলেননি তিনি। নায়িকা পপির চার বোন ও দুই ভাই। অথচ বাবার জমি পপির একারই চাই। এ রকম অভিযোগ তার বোনদের। এরই মধ্যে তার বোন ফিরোজা পারভীন থানায় জিডি করেছেন নায়িকার নামে। আড়াল থেকেই মুখ খুলছিলেন। এবার এলেন ক্যামেরার সামনে। দীর্ঘ তিন বছর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পপি বললেন, আজ যে অভিযোগগুলো আমার মা-বোন করছে। শক্তভাবে আমি প্রতিবাদ করছি। এর পুরোটাই বানোয়াট। তাদের স্বার্থ উদ্ধার হয়নি বলে সত্য একটা জিনিসকে অসত্য বলে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে। আমি একজন শিল্পী। ভাই-বোনকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেছি। নিজের ভবিষ্যৎ, ভালো লাগা-মন্দ লাগা অনেক কিছুই বাদ দিয়েছি। শুধু আমার ভাই-বোনকে মানুষ করার জন্য। কিন্তু এখন এসে দেখলাম মানুষ তো হয়ইনি হিংস্র পশুরও কৃতজ্ঞতা থাকে। এদের মধ্যে সেই কৃতজ্ঞতা নেই। অভিনেত্রী আরও বলেন, কাদের নামে অভিযোগ করবে? অভিযোগ করে বাইরের মানুষের নাম। যেহেতু আমার ভাই-বোন এবং বাবা মাকে আমি অনেক ভালোবাসি। তাই তাদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। তাদের দ্বারা আমার জীবনে অনেক কিছু ফেস করেছি। নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েছি। আমি যে আয় করেছি তারা সব নিয়ে নিয়েছে। আমার সঙ্গেহ বেইমানি করেছে। আমার টাকা দিয়ে কেনা সম্পত্তি আমার নামে ছিল না। আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শূন্য ছিল। আমার দেহটা ছাড়া কোনো কিছুই আমার ছিল না। সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমিও তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলাম। একটা পর্যায়ে এসে মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অবলম্বন লাগে। একটা সময় যখন জানতে পারলাম আমার পরিবার আমাকে ঠকিয়েছে। জানার পরও চুপ ছিলাম। তাদের দ্বারা অনেক নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমার টাকা চুরি করেছে। আমাকে খুন করতে খুনিকে টাকা দিয়ে ভাড়া করেছে। আমার আপন মা, ভাই-বোন জড়িত ছিল। তার কথায়, পৃথিবীতে সব মা-ই মা না। খারাপ মা-ও আছে। দুর্ভাগ্যবশত আমার মা হয়তো আমাকে সেই পরিমাণ ভালোবাসতে পারেনি। আমার পরিবারের কাছে সবসময় সোনার ডিম পাড়া একটা হাঁস ছিলাম। দুধ দেওয়া একটি গরু ছিলাম। টাকা ছাপানোর মেশিন ছিলাম। সন্তান হিসেবে কখনোই ভালোবাসাটা পাইনি। তার পরও কোনো অভিযোগ নেই। এখনো নেই।আরও বলেন, একটা মানুষ যখন মেশিনে পরিণত হয় তখন তার মূল্য মেশিন হিসেবে থাকে। মানুষ হিসেবে থাকে না। আমার বাবা-মা আমার সঙ্গে অনেক বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমার সব টাকা-পয়সা বোনের অ্যাকাউন্টে ছিল। তার পরও কিছু বলিনি। ২০০৭ এর ঘটনা বলছি। তখন জানতে পারলাম কোনো কিছুই আমার নেই। তখন সিনেমার মুরব্বিরা মিলে সবকিছু ঠিকঠাক করে দিয়েছিলেন। পপি সবশেষে প্রকাশ্যে এসেছিলেন ২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময়। সে সময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারকে সমর্থন দিয়েছিলেন এক ভিডিও বার্তায়।