‘আমরা গাজাকে আবার সুন্দর করে গড়ে তুলব’

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৬:০২ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা ‘নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার’ পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজাকে আবার সুন্দর করে তুলতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত’। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় এ কথা বলেন। তবে শর্ত হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘গাজাকে অবশ্যই হামাসের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। কী বলেছিলেন ট্রাম্প? রুবিওর এই মন্তব্যটি এলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ঘোষণার পর। যেখানে তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেব এবং সেখানে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব’। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমরা গাজার দায়িত্ব নেব এবং সেখানে থাকা অবিস্ফোরিত বোমা ও অন্যান্য বিপজ্জনক অস্ত্র সরিয়ে ফেলব। আমরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সমতল করব এবং সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করব যাতে মানুষ চাকরি ও বাসস্থান পেতে পারে’। এর আগে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, জর্ডান ও মিশর গাজা থেকে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেবে। কারণ গাজা এখন সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও বসবাসের অযোগ্য’। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এদিকে জর্ডান ও মিশরসহ অন্যান্য আরব দেশগুলো ট্রাম্পের এই প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাসও তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের যেকোনো অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের নেতৃত্ব ফিলিস্তিনি ভূমির সংহতি নষ্ট করতে পারে- এমন যে কোনো নীতি বা পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে; যার মধ্যে গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম অন্তর্ভুক্ত’। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বিষয়টি কীভাবে দেখা হচ্ছে? আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় কোনো জনসংখ্যাকে জোরপূর্বক স্থানচ্যুত করা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। রোম চুক্তি অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) এ ধরনের পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য করতে পারে। সূত্র: আনাদোলু