ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, ১০ পাকিস্তানি দেশে ফেরত
সৌদি আরব থেকে ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১০ পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত ব্যক্তিরা প্রকৃত ওমরাহ ও হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছেন বলে পাকিস্তান সরকার উদ্বিগ্ন। সূত্র জানায়, সৌদি আরব গত এক বছরে একাধিকবার ইসলামাবাদের সঙ্গে এই ইস্যু উত্থাপন করেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি ঘোষণা দেন, যারা হজ বা ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে। রোববার এক বিবৃতিতে এফআইএ জানায়, করাচি বিমানবন্দরে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে সৌদি ফেরত ১০ জনকে আটক করা হয়, যারা সেখানে ওমরাহ পালনের আড়ালে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন। গ্রেফতারকৃতরা পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা, তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজানপুর, নওশাহরো ফিরোজ, কাশমোর, লাহোর, পেশোয়ার, মোহমান্দ এবং লারকানার বাসিন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তরা কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবে ভিক্ষা করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্তের জন্য করাচির মানব পাচারবিরোধী সার্কেলে হস্তান্তর করা হয়েছে। এফআইএ আরও জানিয়েছে, বিমানবন্দরগুলোর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিদেশগামী যাত্রীদের কড়া তল্লাশি করা হচ্ছে এবং যারা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সৌদি আরবে পাকিস্তানের প্রবাসী কমিউনিটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম, যেখানে প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানি বসবাস করেন। পাকিস্তানের বৈদেশিক রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বড় উৎসও এই অভিবাসীরা।