গাজা নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে পাঁচ আরব দেশের স্পষ্ট ‘না’
ফিলিস্তিন ঘিরে থাকা পাঁচটি আরব দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে। মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং কাতারের শীর্ষ কূটনীতিকরা এক বৈঠকে বসেন এবং যে কোনো উপায়ে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেন। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘গাজার বাসিন্দাদের অন্য দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে এবং সংঘাত বাড়িয়ে তুলবে’। পাঁচ আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আরও বলেন, ‘গাজার জনগণকে উচ্ছেদ করা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সহাবস্থানের সম্ভাবনা নষ্ট করবে। তারা একইসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে একটি ন্যায়সঙ্গত ও পূর্ণাঙ্গ শান্তি অর্জনের আশা প্রকাশ করেন’। যৌথ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি, কোনো উপায়ে ফিলিস্তিনিদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার খর্ব করা যাবে না—হোক তা বসতি স্থাপনের মাধ্যমে, উচ্ছেদ বা ভূমি দখল করে, কিংবা মালিকদের নিজ জমি থেকে সরিয়ে দেওয়া... কোনো পরিস্থিতিতেই এটি গ্রহণযোগ্য নয়।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ২৫ জানুয়ারি বলেন, তিনি জর্ডান ও মিশরের মতো আরব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছেন এবং গাজা উপত্যকা ‘খালি করার কথা ভাবছেন। তিনি জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহকে অনুরোধ করেছেন যেন আরও বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে গ্রহণ করা হয়। এর আগেও মিশর ও জর্ডান ট্রাম্পের এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশেষ করে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ২৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে উচ্ছেদ বা পুনর্বাসন করা একটি অবিচার, যা মিশর কোনোভাবেই সমর্থন করবে না।’ অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস বলেছে, ‘ইসরাইলি দখলদার বাহিনী যে লক্ষ্য হিংসার মাধ্যমে অর্জন করতে পারেনি, তা রাজনৈতিক কৌশলে হাসিল করা যাবে না’। হামাস আরও দাবি করে, গাজার পুনর্গঠনের নামে জনগণকে উচ্ছেদের প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই অপরাধের অংশীদার করে তুলছে।