যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনে নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র
মস্কো ও কিয়েভ দ্রুত একটি শান্তিচুক্তি করতে পারলে বছরান্তে ইউক্রেনে সাধারণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক শীর্ষ প্রতিনিধির বরাতে এ খবর জানা গেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন-বিষয়ক বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি কিথ কেলগ বলেছেন, যুদ্ধের কারণে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত হয়ে পড়েছিল। সেটা দ্রুতই আয়োজন করা দরকার। অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশে যুদ্ধের সময়েও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটা প্রয়োজন বলেই আমি মনে করি। আমার বিশ্বাস, এটা গণতন্ত্রের জন্যও ভালো। আর গণতন্ত্রের সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে, জনগণের হাতে একের অধিক ব্যক্তি থাকেন ভোট দেওয়ার জন্য। ট্রাম্প এবং কেলগ উভয়েই বলেছেন, যুদ্ধ থামাতে প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই একটি চুক্তি সম্পাদন করার পরিকল্পনা করছে নতুন প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইউক্রেনকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছেন ট্রাম্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এদিকে ইউক্রেনজুড়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবারের এসব হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অনেক আবাসিক ভবন ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মধ্যাঞ্চলীয় শহর পোলতাভার একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে, এতে ১১ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়। হতাহতের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলের একটি গ্রামে টহল দেওয়ার সময় ড্রোন হামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। আর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে ড্রোন হামলায় একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। খবর রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের