জীবনে কি কাজ করেছেন, মানুষের কেন আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি?

৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:০০ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

অভিনেত্রী পরীমণি তার কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আলোচনা ও সমালোচনায়। নানান সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছেন এই নায়িকা। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাটানি করায় মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়ে যায় এই নায়িকার। তিনি চান কাজের বাইরে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কেউ যেন আর টানাটানি না করুক। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এমনটাই জানান লাস্যময়ী এই নায়িকা। পরীমণি বলেন, আজ কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করল আমার। নিজের সাথে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সবগুলোই। পরী, আপনি কর্ম জীবনে কি এমন কাজ করেছেন বলে মনে করেন যার জন্য সাধারণ জনগণের আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি? বা পাশাপাশি গণমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে এতো সম্প্রচার কেন হয় বলে মনে করেন? আপনার কাজের থেকে লোকে আপনার ব‍্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে কেন পছন্দ করে? আপনার আগের জেনারেশনের থেকেও যদি আরো একটু আগে চলে যাই,যেমন- শাবানা, ববিতা, কবরী , রজিনা’দের আমলে কি তারা তাদের কাজ নিয়ে যতটা ফোকাসে থাকতেন ততটা কি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফোকাসে থাকতেন? নিজেকে থামিয়ে দিলাম এ রকম হাজারো প্রশ্ন থেকে। তিনি বলেন, ‘জীবনে কখনো কখনও নিজের কর্ম অবস্থানের থেকে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি কইরেন না আল্লার ওয়াস্তে...।’ এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, এখানে আমার জীবনটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন। আমার সাকসেসফুল কেরিয়ার এর থেকেও জরুরি আমার সুস্থ জীবন যাপনের। কারণ, আমার বাচ্চাদের আমি একটা সুন্দর সুস্থ জীবন দিতে চাই। আমি আমার বাচ্চাদের মা, একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চ টা দিতে চাই। যেমন করে হয়তো সব মায়েরাই চায়! গত তিন/ চারটা মাস আমার জীবনের সব থেকে কঠিন সময় পার করেছি আমি। কেন /কি জন্যে সেটার ডেসক্রিপশনটা দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি।’ পরী বলেন, ‘আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সব কিছু ছাড়িয়ে আমি মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি - হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার উপর এবার একটু রহম করো। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেবো...।’