নায়িকাকে একনজর দেখতে আদালতে তলব!
বলিউডের বহু বিখ্যাত সেলিব্রিটির মামলা লড়েছেন ভারতের সিনিয়র আইনজীবী মাজিদ মেমন। দীর্ঘ ৫০ বছরের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন আলোচিত মামলার নিয়ে তিনি সম্প্রতি ‘মাই মেমোরিজ’ নামে একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। বইটিতে তিনি বলিউডের বহু বিখ্যাত তারকাদের মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে অনুপম খের ও সুনীল দত্তের মানহানি মামলা, গুলশান কুমারের হত্যাকাণ্ডের মামলাসহ আরও বেশকিছু আলোচিত মামলার কথা স্থান পেয়েছে। বইটিতে মাজিদ বলেছেন, ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় সঞ্জয় দত্তের পক্ষে তিনি লড়েছেন। এটি ছিল তার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মামলাগুলোর মধ্যে একটি। মাজিদের এই আলোচিত বইটিতে বলিউড এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের মধ্যে সম্পর্কের কথাও উঠে এসেছে। তিনি প্রকাশ করেছেন, অনেক সময় একটি নির্দিষ্ট মামলাকে আড়াল করার জন্য বলিউডের সেলিব্রেটিদের মামালাকে সামনে নিয়ে আসা হতো। সম্প্রতি স্ক্রিন-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে মাজিদ জানিয়েছেন, তার বইয়ে অনেক সেলিব্রিটির মামলার কথা উল্লেখ থাকলেও, একটি মামলা তিনি লেখেননি। এটি ছিল বলিউডের প্রয়াত বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীদেবীকে নিয়ে। তিনি জানান, এক বিচারক বলিউড নায়িকা শ্রীদেবীর অনেক বড় ভক্ত ছিলেন। শুধু শ্রীদেবীকে তিনি নিজ চোখে দেখার জন্য এক মামলায় আদালতে অভিনেত্রীকে তলব করেন। মাজিদ বলেন, আমি একবার শ্রীদেবীর পক্ষে একটি মামলা লড়েছিলাম। তখন তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষে ছিলেন। তাকে এক ঝলক দেখার জন্য মানুষ পাগল ছিল। এমনকি ম্যাজিস্ট্রেটও তাকে দেখতে খুব আগ্রহী ছিলেন। আমি একটি অব্যাহতির আবেদন করেছিলাম, কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। বিচারক আমাকে বলেছিলেন, আমার ক্লায়েন্টকে উপস্থিত রাখতে। কারণ তিনি শ্রীদেবীকে দেখতে চাইছিলেন। অবশেষে যখন তিনি আদালতে এসেছিলেন, তখন লোকজনের এমন ভিড় হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তার বইয়ের আরেকটি অধ্যায়ে তিনি উল্লেখ করেছেন, একটি মামালাকে শুধু গ্ল্যামারাইজ করার জন্য শাহরুখ খান ও সালমান খানকে মিথ্যাভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। বলিউডের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাজিদ বলেন, আমি কলেজে অনেক তারকার সঙ্গে পড়াশোনা করেছি। আমি বলিউডে যথেষ্ট পরিচিত। মহেশ ভাট আমার ব্যক্তিগত বন্ধু। বলিউডের অনেক সেলিব্রিটি কলেজ জীবন থেকেই আমার বন্ধু। আমিসহ দিলীপ কুমার, সুনীল দত্ত এবং আরও অনেকেই প্রতিদিন নওশাদ সাহেবের বাড়িতে জমায়েত হতাম। তাদের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচিতি ছিল এবং পরবর্তীতে আমি একজন আইনজীবী হয়ে উঠেছিলাম।