আমি নিজেকে বলেছিলাম, কখনো হাল ছাড়ব না
সঠিক ডায়েট, উপযুক্ত শারীরিক কার্যকলাপ, এবং সচেতন জীবনধারার মাধ্যমে স্লিপ ডিস্ক থেকে সেরে ওঠার পাশাপাশি টেকসই ওজন হ্রাস সম্ভব। ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ অভিনেত্রী শ্রেয়া চৌধুরী সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে তার ৩০ কেজি ওজন কমানোর অনুপ্রেরণামূলক যাত্রার কথা শেয়ার করেছেন। “যখন আমি ১৯ বছর বয়সী ছিলাম, তখন আমি অনেক কঠিন সময় পার করছিলাম। আমার মানসিক অবস্থাও ভালো ছিল না। এই সময়ে, আমি অনেকটা ওজন বাড়িয়ে ফেলেছিলাম, যা আমার ফিটনেস এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছিল। শারীরিক কার্যকলাপ বন্ধ করার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এর মাঝে আমার স্লিপ ডিস্ক হওয়া যেন শেষ ধাক্কা ছিল,” ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে লিখেছেন তিনি। “জীবন সবসময় আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে; আমাদের শুধু এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজের উপর ফোকাস রাখতে হবে। এখন আমি আমার ফিটনেসের সেরা অবস্থায় আছি। যে মেয়েটির স্লিপ ডিস্ক ছিল, সে এখন বক্সিং করতে পারে! আমি নাচতে পারি, শুটিংয়ের সময় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারি এবং শারীরিকভাবে যেকোনো কাজ করতে পারি,” যোগ করেন তিনি। স্লিপ ডিস্কের সময় ওজন কমানোর সঠিক পদ্ধতি স্লিপ ডিস্কের সময় ওজন কমানো নিয়ে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের স্রি বালাজি মেডিকেল কলেজের নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান দীপালক্ষ্মী। তিনি বলেন, স্লিপ ডিস্ক ব্যবস্থাপনার সময় ওজন কমাতে হলে মেরুদণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। “অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডে চাপ বাড়ায়, যা ডিস্ক সমস্যাকে আরও খারাপ করে। ওজন কমানোর মাধ্যমে মেরুদণ্ডে চাপ কমে, ব্যথা প্রশমিত হয় এবং সেরে ওঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়,” বলেন তিনি। দীপালক্ষ্মীর মতে, পুষ্টিকর এবং প্রদাহনাশক খাদ্য স্লিপ ডিস্কের সেরে ওঠা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। “ফল, শাকসবজি, লিন প্রোটিন, এবং স্যামন বা আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে,” বলেন তিনি। তিনি আরও জানান, হাইড্রেশন বা শরীরে জল সরবরাহ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইন্টারভার্টেব্রাল ডিস্কের স্বাস্থ্য এবং নমনীয়তা বজায় রাখে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি-যুক্ত স্ন্যাকস এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। সাথে তিনি বলেন, ডায়েটের পাশাপাশি জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি। “কম-ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপ, যেমন হাঁটা বা সাঁতার, ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে, তবে যেকোনো শারীরিক কার্যকলাপ শুরু করার আগে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন,” জানান দীপালক্ষ্মী। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কার্যকলাপ এবং সচেতন জীবনধারার মাধ্যমে স্লিপ ডিস্কের সময় টেকসই ওজন কমানোর পাশাপাশি দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।