অতিরিক্ত ভাত খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ভাত বাংলাদেশের এবং ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য। তবে অতিরিক্ত ভাত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন দেখে নিই ভাতের উপকারিতা ও অপকারিতা। ১০০ গ্রাম সাদা ভাতে পাওয়া যায়: ক্যালোরি: ৩৫৭ কিলো ক্যালোরি প্রোটিন: ৮ গ্রাম ফ্যাট: ০.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট: ৭৮ গ্রাম ফাইবার: ২.৮ গ্রাম এছাড়া ভাতে শর্করা, সামান্য আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। তবে রান্নার সময় মাড় ফেলে দিলে এতে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান অপচয় হয়। অতিরিক্ত ভাত খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব ওজন বৃদ্ধি ভাতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি এবং শর্করা থাকে। অতিরিক্ত ভাত খাওয়ার ফলে এই শর্করা জমা হয়ে শরীরের ওজন এবং পেটে চর্বি বাড়ায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি ভাত থেকে উৎপন্ন গ্লাইকোজেন দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। আর্সেনিকের প্রভাব গবেষণায় দেখা গেছে, ভাতে মাটি ও পানির মাধ্যমে আর্সেনিক প্রবেশ করে। এটি শরীরে জমা হয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ হতে পারে। পুষ্টির অপচয় মাড় ফেলা পদ্ধতিতে ভাত রান্নার সময় চালের পুষ্টি উপাদানগুলোর ১৩-১৫% অপচয় হয়। এতে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১৫০ গ্রামের মতো ভাত খাওয়া নিরাপদ। বেশি ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। রাতে ভাত খাওয়া কতটা নিরাপদ? পুষ্টিবিদদের মতে, রাতে মসুর ডাল ও অল্প ভাত খেলে অন্ত্র শক্তিশালী হয় এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। এটি ভালো ঘুমেও সহায়তা করে। অতিরিক্ত ভাত খাওয়া থেকে কীভাবে বাঁচবেন? সাদা চালের পরিবর্তে বাদামী চাল, লাল চাল বা বুনো চাল খেতে পারেন। চাল রান্নার সময় মাড় ফেলে না দিয়ে কম পানি দিয়ে ভাত রান্না করুন। শর্করা এবং ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাতের পরিমাণ কমিয়ে শাকসবজি ও আমিষ খাবারের দিকে মনোযোগ দিন। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য হলেও পরিমাণের বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সঠিক পদ্ধতিতে রান্না এবং নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ভাত খেলে এর অপকারিতা এড়ানো সম্ভব।