বেক্সিমকো কারখানা খোলার দাবিতে শ্রমিকদের ভাঙচুর-আগুন

২২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৫১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ সব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এ সময় তারা ৪টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেন। শ্রমিকরা কাঠ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাদের হামলায় ও মারধরে সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মহানগরীর চক্রবর্তীর মোজার মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা রয়েছে। কয়েক মাস ধরে এসব কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এর জের ধরে বুধবার বেলা ৩টার দিকে শ্রমিকরা ফের সানসিটি মাঠ এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা চক্রবর্তীর মোজার মিল এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শ্রমিকরা ৪টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার সময় বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করেন শ্রমিকরা। তারা সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল, ক্যামেরা, মোবাইল ফোনও ভাঙচুর করেন। শ্রমিকদের হামলায় দীপ্ত টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাভিশনের চিত্র সাংবাদিক আমির হোসেন রিয়েল ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার কালিয়াকৈর প্রতিনিধি আবু সাঈদসহ চারজন সাংবাদিক আহত হন। পুলিশের কয়েক সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েন। সন্ধ্যায় শ্রমিকরা স্থানীয় তেঁতুইবাড়ি এলাকার গ্রামীণ ফেব্রিক্স নামের একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক থেকে চলে যান। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিইপিজেড, সারাবো ও জয়দেবপুর স্টেশনের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে।