ট্রাম্পের প্রথম টার্গেট চীন, দ্বিতীয় ভারত

২২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৫:১৪ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ক্ষমতার মসনদে বসেই ট্রাম্পের প্রথম টার্গেট চীন, এরপরই নাকি ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে এমন বোমা ফাটানোর তথ্যই প্রকাশ করল ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। কেমন হবে তার শাসন? কেমন হবে তার পররাষ্ট্রনীতি? এমন প্রেক্ষিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সম্ভবত ট্রাম্প তার প্রথম একশ দিনের মধ্যেই চীন এবং ভারতকে টার্গেট করে তার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পরই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সই করেছেন একাধিক প্রশাসনিক নির্দেশে। সেই সাথে ঘোষণা করেছেন একশো দিনের কর্মসূচি। শপথ নেওয়ার পর প্রথম একশ দিনের মধ্যে চীন সফর করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।কারণ একটাই, সেই জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন। এরপরই তার সফর তালিকায় রাখা আছে ভারতের নাম। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন, আগামী একশ দিনের মধ্যে তিনি চীন সফরে যেতে চান। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ খোলামেলা আলোচনাও চান ট্রাম্প। এই বিষয়গুলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করবে। এছাড়া ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের সম্ভাব্য ভারত সফর নিয়েও আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল ডেইলি এই কথা জানিয়েছে। এমনকি গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফরেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের সফরটি চলতি বছর এপ্রিল মাসেই হতে পারে। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রিত হতে পারেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের একদিন পর এই খবর এলো। তাদের আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানে শি আমন্ত্রিত হয়েছিলেন, যদিও তিনি যাননি। শপথ অনুষ্ঠানে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান জিং। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হননি। তবে রীতি অনুযায়ী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। চীনা পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকির কারণে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই চাপের মুখে রয়েছে। গত শুক্রবার ট্রাম্প ও শিয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়। নির্বাচনের পর এটি ছিল তাদের প্রথম যোগাযোগ। জানা যায়, ফোনালাপে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বাণিজ্য, ফেন্টানাইল, টিকটক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। চীনের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্কের এই মুহূর্তটি বেশ সংবেদনশীল। কারণ ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ষাট শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। অবশ্য চীন এই শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, চীন ও ট্রাম্প তাদের আলোচনায় কৌশলগত যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছেন। সফরে চীনকে ফেন্টানাইল এর মূল উপাদান সরবরাহ বন্ধ করতে চাপ দেয়ার পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চীনের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এর আগে ২০১৭ সালে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প বেইজিং সফর করেছিলেন।