মেডিকেল ভর্তিতে কোটা বিতর্ক: ৭৩ পেয়েও বঞ্চিত, ৪১ পেয়ে চান্স!

১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:০৪ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

রবিরার (১৯ জানুয়ারি) দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তবে ফলাফল প্রকাশের পরই কোটা নীতিমালাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দেখা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় ৭০ নম্বর পেয়েও সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাননি অনেক শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, ৪১-৪৬ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা কোটা সুবিধার কারণে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫,৩৮০টি আসনের মধ্যে ২৬৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়া পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য রয়েছে ৩৯টি আসন। তবে এবার জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ২৬৯টি আসনের বিপরীতে পাস করেছেন মাত্র ১৯৩ জন। পাসকৃতদের যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে। এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সুশোভন বাছাড়। তার স্কোর ৯০.৭৫। দ্বিতীয় হয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজের মো. সানজিদ অপূর্ব, যার স্কোর ৯০.৫০। মেধাবীরা কোটা নীতির কারণে বঞ্চিত হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেছেন, ৪১ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা চান্স পেয়েছে, অথচ ৭৩ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। এটি মেধার প্রতি অবজ্ঞার শামিল। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় এখনো কীসের কোটা? আজ থেকেই এই শোষণের শেষ হতে হবে। ফুলস্টপ। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজন ভর্তি হচ্ছেন এবং তাদের প্রাপ্ত নম্বর কত, তা যাচাই করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২৫ হাজার ২৬১ জন আবেদন করেন। অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬০ হাজার ৯৫ জন, পাসের হার ৪৫.৬২ শতাংশ। এর মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থীর পাসের হার ৬৩.১৩ শতাংশ, আর ছেলে পরীক্ষার্থীর পাসের হার ৩৬.৮৭ শতাংশ।