আরাকান আর্মিকে নিয়ে বিপদ বাড়ছে বাংলাদেশের!
আরাকান আর্মিকে নিয়ে বাংলাদেশের বিপদ বাড়ছে। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী জাহাজের ওপর ভয়াবহভাবে চড়াও হয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা। জানা গেছে, দেশটির ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দরের উদ্দেশ্যে আসা চারটি জাহাজ নাফ নদী থেকে আটক করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাফ নদীর জলসীমা নাইখোং দিয়ায় তল্লাশির কথা বলে পূর্ণবাহী দুটি এবং শনিবার আরো দুটি জাহাজ আরাকান আর্মি আটকে রাখে বলে জানানো হয়েছে টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে। এরপর পেরিয়ে গেছে আরো দুটো দিন, কিন্তু এখনো মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী জাহাজগুলো ছাড়েনি। আরাকান আর্মি এখনো জাহাজগুলোকে তাদের হেফাজতে রেখেছে। টেকনাফ প্রশাসন জানায়, মিয়ানমার সীমানা থেকে ২৫০টিরও বেশি ডিজাইন অপশন নিয়ে ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ বোঝাই এসব পণ্য জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে আটক করা হয়েছে। জাহাজগুলোতে ৫০,০০০ বস্তা শুটকি, সুপারি, কফি সহ বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ৪০ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে।Travel packages টেকনাফ স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক জানায়, প্রায় দেড় মাস পর ইয়াংগুন থেকে এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, কিন্তু এখন তা আটক হয়ে গেছে। মিয়ানমার ব্যবসায়ীরা আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে, এখনো জাহাজগুলো তাদের হেফাজতে রয়েছে। এসব জাহাজে আচার, শুটকি, সুপারি সহ নানা মালামাল রয়েছে। আরাকান আর্মি মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুই দিনের মধ্যে এসব জাহাজ আটক করার পর, রাখাইনের প্রায় পুরোটা দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা। এ পরিস্থিতিতে, প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং ভারতও এখন ঝুঁকিতে পড়েছে। সীমান্ত এলাকা যেকোনো সময় বিদ্রোহীরা বাংলাদেশীদের ওপর আক্রমণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাতারাতি বাংলাদেশের পাশে নতুন একটি দেশ হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মিয়ানমার সরকারের পরিবর্তে এখন আরাকান আর্মি সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। আরাকান আর্মি যদি চূড়ান্তভাবে সফল হয়, তবে রাখাইন হবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী আরেকটি দেশ। বর্তমানে, রাখাইনের ৮০ শতাংশ এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদি তাদের অগ্রগতি অব্যাহত থাকে, তবে পুরো অঞ্চল তারা দখলে নিতে পারবে। বিদ্রোহীরা জনগণের গভীর ক্ষোভ ও প্রত্যাশাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক সমর্থন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরাকান আর্মির শাসন বাস্তবায়িত হলে শুধু মিয়ানমার নয়, পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এর বড় প্রভাব ফেলবে, যা ইতিমধ্যেই বিশ্বে প্রত্যক্ষ করা শুরু হয়েছে।"