সেদিনের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিলেন কারিনা

১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। মুম্বাইয়ের বান্দ্রার মতো অভিজাত এলাকায় এতো কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও নবাব বাড়িতে এমন ভয়াবহ হামলার পর থমকে গেছে গোটা ভারতবাসী। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাইফ। অস্ত্রোপচারের পরে আপাতত স্বাস্থ্যের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। এদিকে সেই রাতের ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সাইফপত্নী কারিনা কাপুর খান। পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেছেন কারিনা। তিনি জানিয়েছেন, দুই শিশুপুত্র এবং বাড়ির নারীদের বাঁচাতেই নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সাইফ আলি খান। তার কথায়, আক্রমণকারী মারাত্মক হিংস্র। নৃশংসভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সাইফের ওপরে! এলোপাথারি কোপাচ্ছিল। কারিনা আরও জানিয়েছেন, ছেলে জেহ তখন ভয়ে কাঁপছে, কাঁদছে। সন্তানের জীবন বিপন্ন দেখলে কোনো বাবা স্থির থাকতে পারেন! সাইফও তাই ছোট ছেলেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। লক্ষ্যে বাধা পাওয়ায় মরিয়া হয়ে ওঠে আক্রমণকারী। ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে অভিনেতার শরীর। চিকিৎসকদের মতোই কারিনাও জানিয়েছেন, অভিনেতার শরীরে মোট ছয়টি জখম তৈরি হয়েছিল। সে রাতে সাইফ যেন রক্তস্নান করে উঠেছিলেন। কারিনা সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ঘটনার সময় বড় ছেলে তৈমুর ছিল সাইফের সঙ্গে। সাইফ নিজে স্থানীয় এক অটোরিকশায় উঠে বসেন। চালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান। তৈমুরের হাত তখনও সাইফের হাতের মুঠোয়। অভিনেতার পরিচয় জেনে নিমেষে তাদের নিয়ে ওই চালক পৌঁছে যান লীলাবতী হাসপাতালে। দ্রুত শুরু হয় সাইফের চিকিৎসা। কারিনা আরও জানান, দ্রুত সুস্থতার পথে এগোচ্ছেন সাইফ। আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ তিনি। কথা বলছেন, শুক্রবার অল্প হেঁটেছেন চিকিৎসকদের পরামর্শে। যদি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি এখনও। পর্যবেক্ষণকারী চিকিৎসকদের মতে, পরিস্থিতি বুঝে তারা সাইফকে হাসপাতাল থেকে ছাড়বেন। এদিকে, কারিনা সংবাদমাধ্যম এবং অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাহরুখ খান, আলিয়া বাটসহ বলিউডের ঘনিষ্ঠজনদের। যারা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন সাইফকে। পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছে তার বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সহানুভূতি থেকে যেন তাদের ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে না পড়েন কেউ। তারা নিজেদের সামলানোর চেষ্টা করছেন। প্রত্যেকে যদি তাদের সীমারেখা বজায় রাখেন তা হলে তারা সকলের সহযোগিতায় দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।