ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ?
মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের অধীনে মানবাধিকার বিপর্যয়, উগ্রপন্থার উত্থান
বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের অধীনে মানবাধিকার পরিস্থিতি, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার চরম অবনতি ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উগ্র ইসলামিক চরমপন্থার উত্থান এবং হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা এ পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গেছে, দেশে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কার্যক্রম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর আক্রমণ, মন্দির ভাঙচুর, এবং ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর এই ধরণের সহিংসতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, হুমকি, এবং শারীরিক আক্রমণের অভিযোগ প্রায়শই উঠে আসছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর দমনমূলক পদক্ষেপ এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার, এবং গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আরও চাপ প্রয়োগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উগ্রপন্থার এই উত্থান এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা বা ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা আরও বড় আকারে আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে পারে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে, মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে এ সব অভিযোগ বারবার অস্বীকার করা হয়েছে এবং তারা দাবি করেছে যে, এসব ষড়যন্ত্র দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। তবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলা করতে হলে সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই হবে। বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর সহিংসতা, মুক্ত সাংবাদিকতায় বাধা, এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। এসব ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশের সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায়, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর তদন্ত এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে চাপে রাখার কৌশল নিচ্ছে। অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন।