কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে রাশিয়া পৌঁছালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারি অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে বৃহত্তর কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইরান। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মস্কোতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার বৈঠকে এই চুক্তি সাক্ষরের কথা রয়েছে। চুক্তি সাক্ষর ও পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে এরইমধ্যে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন পেজেশকিয়ান। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস। পুতিন-পেজেশকিয়ানের এই বৈঠকের এজেন্ডায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এবং দক্ষিণ ককেশাসে সাম্প্রতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলাকালে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহন, লজিস্টিকস এবং মানবিক সহযোগিতা প্রসারিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকের শেষে পুতিন এবং পেজেশকিয়ান সংবাদমাধ্যমের কাছে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা এবং কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুই দেশের কর্মকর্তাদের মতে, এই চুক্তিটি প্রতিরক্ষা, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই, জ্বালানি খাত, অর্থনীতি, পরিবহন, শিল্প, কৃষি, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে। বর্তমানে, রাশিয়া এবং ইরান ২০০১ সালে স্বাক্ষরিত ‘সম্পর্কের ভিত্তি এবং সহযোগিতার নীতিমালা’ চুক্তির অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এই চুক্তি দশ বছরের জন্য সম্পাদিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে পাঁচ বছরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয়। তবে নতুন চুক্তিটি ২০ বছরের জন্য সম্পাদিত হবে, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা নিশ্চিত করবে। ইরানের রাশিয়া বিশেষজ্ঞ এবং প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিজ্ঞানী অধ্যাপক রুহুল্লাহ মুদাব্বির তাসকে বলেছেন, নতুন চুক্তি শুধু দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবে না, বরং তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে। এই চুক্তিতে উভয় দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ক্রেমলিনের মতে, এই চুক্তি মস্কো এবং তেহরানের অভিলাষের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অন্য কোনও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে নয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি উল্লেখ করেছেন, চুক্তিতে প্রতিরক্ষা জোট গঠনের কোনও বিধান নেই। এটি একটি কৌশলগত সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করলেও, এর মূল লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ এবং পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করা।