নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা হচ্ছে ট্রাম্পের অভিষেকের মঞ্চ

১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই অভিষেক ঘিরে চলছে তোড়জোড় প্রস্তুতি। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা থাকবে ক্যাপিটাল হিল। ৪৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হচ্ছে ৭ ফুট উঁচু বেড়া। বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে নিরাপত্তা কর্মীরা। ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে থাকবেন কংগ্রেস সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, প্রচুর রাজনীতিক, প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা, বিদেশি অতিথিসহ প্রচুর মানুষ। তাই নিরাপত্তার কোনো কমতি থাকবে না সেখানে। ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য ৪৮ কিলোমিটার এলাকায় তৈরি হচ্ছে সাত ফুট উঁচু বেড়া। নিরাপত্তা কর্তারা বলছেন, এই বেড়া টপকে যাওয়া সম্ভব নয়। চেকপয়েন্ট বা অন্য জায়গায় থাকবেন ২৫ হাজার সুরক্ষাকর্মী। প্রায় আট হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। চার হাজার পুলিশ অফিসারকে নিরাপত্তা রক্ষার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া এ দিন হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাপিটল হিল ও তার আশপাশের এলাকায় কোনো সাধারণ যানবাহন চলবে না। এন্ট্রি পয়েন্টগুলো পুরোপুরি ব্লক করে দেওয়া হবে। ওয়াশিংটনে ৩৪ হাজার পাঁচশ হোটেলরুম আছে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইতিমধ্যেই বুক হয়ে গেছে। এর আগে দুইবার ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। অন্তত দুই জায়গায় নতুন বছরের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তাই ট্রাম্পের শপথ নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনো ঝুঁকি নিতে চান না নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার প্রচারিত মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেছেন, তার দেশ ট্রাম্পসহ কাউকে হত্যার পরিকল্পনা করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। ট্রাম্পের অভিষেকের এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান আরও বলেছেন, এ অঞ্চল (মধ্যপ্রাচ্য), ইউরোপ ও অন্যান্য স্থানে আমরা যেসব গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতে দেখছি, তাতে কি ইরানিদের জড়িত থাকার কোনো চিহ্ন আছে? নাকি অন্য বিদেশি নাগরিকরা রয়েছে? ইরানের সঙ্গে এসব সন্ত্রাসী হামলার কোনো যোগসূত্র আছে কি? ইরান কখনোই গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় না। উলে­খ্য, ২০২৪ সালে ট্রাম্পের ওপর দুটি ব্যর্থ হত্যাচেষ্টার পর অভিযোগ ওঠে, হত্যাচেষ্টার পেছনে ইরানের হাত আছে।