দেশে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত

১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

জাপান, মালয়েশিয়া ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো চীনে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী। আক্রান্ত একজন নারী। তিনি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা হলেও থাকেন নরসিংদীতে। সেখানেই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আবারও করোনার মতো নতুন কোনো মহামারি আসবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা তাদের মধ্যে। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো অবস্থা তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এটি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে যত প্রতিরোধ ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেনো স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন তাই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কোনো গাইডলাইন আসার আগ পর্যন্ত করোনার সময় যেসব স্বাস্থ্যবিধি ছিল সেগুলো মানার তাগিদ দিয়েছেন তারা। এই রোগ শনাক্তকরণে সব হাসপাতালে পরীক্ষা সহজলভ্য করার কথাও বলছেন তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশিদ রবিবার জানান, আক্রান্ত ওই নারীর বাড়ি নরসিংদী। গত ৯ জানুয়ারি তার শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়। তিনি এখন ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এইচএমপিভির পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্য একটি সংক্রমণেও আক্রান্ত। তার পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে প্রথম তিন জনের শনাক্ত হওয়ার খবর ২০২০ সালের ৮ মার্চ জানানো হয় আইইডিসিআর পক্ষ থেকে। এর ঠিক ১০ দিন পর করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। ভাইরাসটির বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারি ঘোষণা করে ১১ মার্চ। দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। দেশে দেশে দেওয়া হয় লকডাউন। পাঁচ বছর পর ঠিক একই সময়ে চীনে এইচএমপিভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবরে আতংক দেখা দেওয়া স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এইচএমপিভি ভাইরাসে এবারই প্রথম রোগী শনাক্ত হয়নি উল্লেখ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, গত বছরও এইচএমপিভি আক্রান্ত দুজন শনাক্ত হয়েছিলেন। ভাইরাসটি দেশে ২০১৭ সালে প্রথম শনাক্ত হয়। সেই থেকে ভাইরাসটি দেশে ছিল এবং আছে। এটি নিয়ে এখনি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর বলেন, এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বের কোথাও কোনো রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এটি নিয়ে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেয়। এ রোগের লক্ষণ সাধারণ সর্দি, কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি অন্য জ্বরের মতোই। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যেসব ব্যক্তি ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি আছে। এই ঝুঁকি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার।ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন তবে যেহেতু করোনার সময় আমাদের একটা কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাই অবহেলা করার সুযোগ নেই। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। তিনি বলেন, চীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও আমরা আলাপ করেছি। চীন জানিয়েছে, তারা এই রোগের কারণে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করেনি। অনেক ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে আমরা এ বিষয়ে আলোচনায় বসেছি। আমরা আবারও এই রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসব। তবে এটি প্রতিরোধে এরই মধ্যে ৭টি বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। অধিদপ্তর বলছে, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। যার জন্য সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে, হাঁচি/কাশির সময় বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে, ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলার পাশাপাশি কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ না ধরারও পরামর্শ দেওয়া হয়। জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলা হয় প্রয়োজনে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনেকের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোনো রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে তাদের। যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল হেড আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমে বলেন, আরও একটি মহামারির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সেটি নিশ্চিত নয় বলে আগাম মহামারির নাম দেওয়া হয়েছে ডিজিজ এক্স। আগামীর মহামারির প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে মারাত্মক ছোঁয়াচে। মানুষের মৃত্যুহার পৌঁছাবে সর্বোচ্চে। চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানেও। দেশটির সংবাদ মাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে সাত লাখেরও বেশি মানুষের মধ্যে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা যায়, চীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি। যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে করে যে কোনো সময়ে দেশটি জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে বলেও দাবি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের। দেশটিতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা। বিশেষ করে আগে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল, তারা নতুন এই ভাইরাসের আক্রমণে নাজুক অবস্থায় আছেন। জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণের তীব্রতা ব্রঙ্কিওলাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গত সোমবার ভারতের কর্নাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালুরুতেও দুই শিশুর দেহে এইচএমপিভি পাওয়া যায়। এবার বাংলাদেশেও এই রোগী পাওয়ায় সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, এই রোগে মৃত্যু হার নগণ্য হলেও বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দেওয়ার অবস্থা তৈরি হতে পারে। অনেকে কোভিড ১৯-এর কথা মনে করছে। এইচএমপিভি সংক্রমণে ঠান্ডাজ্বর বা ফ্লুর মতো অসুস্থতা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি হয়। তবে তীব্র কাশি, শ্বাসের অসুবিধা, শ্বাসটান বৃদ্ধি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি হতে পারে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশিদের ক্ষেত্রে অসুস্থতা তীব্র হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে এইচএমপিভি একটি সাধারণ রোগ। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা নগণ্য। আরটিপিসিআরের মাধ্যমে এই রোগ শনাক্ত করা সহজ হলেও বাংলাদেশে এটি সহজলভ্য নয়। তাই কারো লক্ষণ দেখা দিলেই যে পরীক্ষা করাতে পারবে এমন নয়। তবে আইইডিসিআর চাইলে নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পারবে। যেহেতু রোগী পাওয়া গেছে তাই এখন সব হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সহজলভ্য করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়াও এয়ারপোর্ট এবং সীমান্ত এলাকায় পরীক্ষার সুযোগ তৈরি করার পরামর্শ দেন তিনি। ভাইরাসটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে চাইলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তুষার মাহমুদ বলেন, এটি একটি সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা সব বয়সের মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এইচএমপিভি প্রথম ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে আবিষ্কৃত হয়। গবেষকরা শিশুদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে কাজ করার সময় এই ভাইরাস শনাক্ত করেন। তবে জিনগত বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে, এইচএমপিভি মানুষের মধ্যে অন্তত ৫০ বছর ছড়িয়ে আছে। এটি পেরামাইক্সোভাইরাইড পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে আরএসভির (রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস) মতো অন্যান্য ভাইরাসও রয়েছে। তিনি বলেন, কোভিড ১৯-এর জন্য দায়ী ভাইরাস হলো সার্স-কোভ-২, যা করোনাভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, এইচএমপিভি হলো পেরামাইক্সোভাইরাইড পরিবারের একটি ভাইরাস। যদিও লক্ষণগুলোর মধ্যে কিছুটা মিল রয়েছে যেমন জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। তবে কোভিড-১৯ অনেক বেশি সংক্রামক এবং গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়, এইচএমপিভি সংক্রমণের হার কিছুটা কমে গিয়েছিল, কারণ মানুষ মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাত ধোঁয়ার মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তবে মহামারি শেষ হওয়ার পর এই ভাইরাসগুলোর সংক্রমণ আবার বাড়ছে। তিনি বলেন, এইচএমপিভি খুব দ্রুত ছড়াতে পারে। এটি ড্রপলেটের মাধ্যমেÑ হাঁচি, কাশি বা কথা বলার সময় ভাইরাসযুক্ত কণার মাধ্যমে ছাড়াও, স্পর্শের মাধ্যমেÑ সংক্রমিতপৃষ্ঠ, স্পর্শ করে তারপর মুখ, নাক বা চোখে হাত দেওয়ার মাধ্যমে, ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শেÑ সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে থাকার মাধ্যমে ছড়াতে পারে। ভাইরাসটি কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে, তাই নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রতিরোধের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, যদিও সবাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী গুরুতর রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিতে থাকে তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশু এবং নবজাতকরা। এ ছাড়াও গর্ভবতী নারী, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক ব্যক্তিরা, যাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ রয়েছে (যেমন হাঁপানি, সিওপিডি, হৃদরোগ), দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিরা (যেমন ক্যান্সাররোগী বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারীরা) ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে। রোগ শনাক্তকরণ মাধ্যম হিসেবে তিনি বলেন, পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে এই ভাইরাস শনাক্ত করা যায়। তবে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়াটা চিকিৎসার জন্য জরুরি নয়। কারণ উপসর্গের ওপর ভিত্তি করে এই ভাইরাসের উপস্থিতি বিবেচনা করে চিকিৎসা করা হয়।