কয়লা আনতে গিয়ে কোয়ারি ধস মেঘালয় পাহাড়ে বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের গহিনে চোরাচালানের কয়লা আনতে গিয়ে কোয়ারি ধসে লোকমান মিয়া নামে বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত লোকমান সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত গ্রাম লাকমার বন্দের হাটির মোহাম্মদ আলী ওরফে বকুলের ছেলে। শনিবার দুপুরে বিজিবি সিলেট সেক্টরের ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টেকেরঘাট কোম্পানি সদরের বালিয়াঘাট বিওপির ওপারে মেঘালয় পাহাড়ে ওই শ্রমিক নিহত হন। লাকমা সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দারা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাফিল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাহিরপুর থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। গত ৭-৮ মাসে লোকমানসহ কমপক্ষে ১৫ শ্রমিক মেঘালয় পাহাড়ের গহিনে চোরাচালানের কয়লা আনতে গিয়ে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তের বাসিন্দারা। জানা গেছে, উপজেলার লাকমা সীমান্ত গ্রামের কিয়ামতের ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারি লিটন ও লাকমা পূর্বপাড়ার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে সাইফুল। তাদের অধীনে শনিবার ভোরে সীমান্তের পিলার ১১৯৮ অতিক্রম করে সীমান্ত গ্রামের শতাধিক শ্রমিকের সঙ্গে লোকমান চোরাচালানের কয়লা আনতে যায়। পাহাড়ের গহিনে থাকা কোয়ারিতে অক্সিজেন সংকট দেখা দিলে শ্রমিকরা বের হয়ে আসার পথে কোয়ারি ধসে কয়েকজন আহত হন। ওই সময় লোকমান কোয়ারির ভেতর নিহত হন। অন্য শ্রমিকরা লোকমানের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে সটকে পড়েন। একাধিক শ্রমিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। কয়লার চোরাচালান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন, এলাকার অনেকেই সব কিছু ম্যানেজ করেই এসব করছে, এতে দোষের কিছু দেখছি না। বিজিবির টেকেরঘাট সদরের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল হান্নান বলেন, শ্রমিক নিহত হওয়ার বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। ভারতে কয়লা আনতে যে এলাকা অতিক্রম করেছে শ্রমিকরা, সেটি বালিয়াঘাট বিওপির এরিয়া। বালিয়াঘাট বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার সিদ্দিক বলেন, ভারতে কয়লা আনতে গিয়ে শাসকষ্ট দেখা দিলে বাড়ি আনার পথে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। কয়লা চোরাচালানে থানা পুলিশ, টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের কিছু কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কয়লা চোরাচালানের সঙ্গে আমি জড়িত নই, লোকজন মিথ্যাচার করছে।