বাউফলে শিক্ষক-সাংবাদিকসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক সাংবাদিক ও দুই নারী শিক্ষকসহ পাঁচ ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- দৈনিক খবরপত্রের বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি এইচএম বাবলু, পূর্ব দাশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাকিলা জাহান ওরফে তানজিলা, মধ্য কর্পূরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে তুলি, মোছা. ঝুমুর আক্তার ও সাইদুর রহমান ওরফে সোহেল। গুরুতর আহত শাকিলা জাহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দাশপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সামসুল হক ওরফে সোনা গাজীর ছেলে শাহ আলম গাজীর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল এ হামলা চালিয়েছে। আহত সাংবাদিক এইচএম বাবলু অভিযোগ করেছেন, খাজুরবাড়িয়া এলাকার ৬৩৪ নম্বর খতিয়ানের পৈতৃক সূত্রে তারা ২ একর ৪৯ শতাংশ জমির মালিক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শাহ আলম গাজী, তার ভাই মনির গাজী ও চাচাতো ভাই মশিউর রহমান ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে চাষাবাদ করেন। আওয়ামী সরকার পতনের পর তাদের (বাবলু) জমি দখলমুক্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা চান; কিন্তু অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে শাহ আলম গাজী ও তাদের লোকজন ওই জমি জোরপূর্বক দখলে রাখেন। ঘটনার দিন তারা (বাবলু) জমির কাছে গেলে শাহ আলম গাজীর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন এবং তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার পর শাহ আলম গাজী গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য শাহ আলম গাজীর মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার সঙ্গে শাহ আলম গাজীর সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করা হয়েছে। বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।