তাঁবুর ভেতর গর্ত খুঁড়ে থাকছেন গাজার বাসিন্দারা

৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৪০ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসপ্রায় গাজা। মৃত্যুপুরী উপত্যাকাটিতে বর্বরতা এখনো অব্যাহত। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই সেখানে। মাথা গোজার ঠাঁইও নেই বেঁচে যাওয়া বাসিন্দাদের। তাঁবুর দেয়ালে ঘেরা মাটির বিছানাই তাদের একমাত্র ঘর। তবে ভয় সেখানেও- ইসরাইলি বোমার ভয়। তবুও শত অনিশ্চয়তার মধ্যেও বেঁচে থাকার চেষ্টা চলছে সে ঘরেই। ইসরাইলের হামলা থেকে বাঁচতে তাঁবুর ভেতরই গর্ত খুঁড়ে থাকছেন অসহায় বাসিন্দারা। রয়টার্স। তায়সীর ওবাইদ। গাজার দেইর আল-বালাহ অঞ্চলে তাঁবুর ভেতর গর্ত খুঁড়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস করছেন তিনি। ওবাইদ বলেছেন, তাঁবুর ভেতরকার এই গর্ত তার পরিবারকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলা থেকে। কিছুটা অসুবিধা থাকলেও বিশেষ এই ব্যবস্থা তাদেরকে নিরাপত্তা দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওবাইদ আরও বলেছেন, ‘যুদ্ধ শব্দটি সহজ নয়। মানুষ যেটুকু কল্পনা করতে পারে, যুদ্ধ ও হামলা তার চেয়েও বেশি কিছু। যুদ্ধ হলো খাবার, নিঃশ্বাস ও পানি। শিশুদের মুখে খাবার জোটানো কঠিন। যুদ্ধ তিন বর্ণের একটা শব্দ হতে পারে কিন্তু এটার অর্থ অনেক বড়। কেউ বাস্তবে যুদ্ধের মুখোমুখি না হলে এটার ব্যথা অনুভব করতে পারবে না। শত অনিশ্চয়তার মধ্যেও হাতের কাছে যা কিছু আছে তা দিয়েই পরিবারের ১০ সদস্যের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। খাদ্যের অভাব দূর করতে তাঁবুর পাশেই ছোট জমিতে করছেন শাকসবজির চাষ। পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলমান যুদ্ধের মধ্যে জীবনকে একটু সহজ ও নিরাপদ করতে কাজ করে যাচ্ছেন উপত্যকাটির ৩৭ বছর বয়সি ওবাইদ। গাজার অন্যান্য অনেক ফিলিস্তিনির মতো বেইত লাহিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত ওবায়েদ। তার পরিবারকে যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর বেশ কয়েকবার স্থানান্তরিত হতে হয়েছে। এদিকে হামাসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসাবে মুক্তি দিতে ৩৪ জন জিম্মির তালিকা প্রস্তুত করেছে হামাস। এই অবস্থার মধ্যেই সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য চ‚ড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কাতার এবং মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যস্থতায় আলোচনার জন্য ইসরাইলের একটি প্রতিনিধি দোহায় পাঠিয়েছে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলে মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির আলোচনার বিষয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কোনো মন্তব্য করেনি।