চট্টগ্রাম বন্দরে ফের বিপুল বিস্ফোরক পাঠাল ইসলামাবাদ: ফ্যাক্ট চেক
ভারতের কতকাতা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম “ওয়ানইন্ডিয়া” আজ ২৯ ডিসেম্বর “চট্টগ্রাম বন্দরে ফের বিপুল বিস্ফোরক পাঠাল ইসলামাবাদ”এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়,হাসিনা জমানার শেষ হতেই বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রীতি সপ্তমে। ভারতের অবদান ভুলে ভারত বিরোধিতার জিগির তুলে পাকিস্তানকে নিয়ে মেতে আছেন মহম্মদ ইউনূস।Tourism guides এদিকে পাকিস্তান থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে (Chattagram Port)। গত সেপ্টেম্বর থেকে চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার রাউন্ড আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে পাকিস্তান থেকে। গত বছরের তুলনায় যা প্রায় তিন গুণ বেশি। এছাড়াও ইসলামাবাদের কাছে ২ হাজার রাউন্ড সামরিক ট্যাঙ্ক ও ৪০ টন আরডিএক্স চেয়েছে ঢাকা। ভারতে সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) কায়েমের চেষ্টায় রয়েছে বাংলাদেশে। আর সেই জল্পনা সত্যি করে চট্টগ্রাম বন্দরে ফের বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এসে পৌঁছল পাকিস্তান থেকে। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে আওয়ামী লীগের তরফে বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা এসে পৌঁছেছে বলে ছবি আপলোড করেছে তারা। এর আগে ইউনূসের সরকার পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজে তল্লাশি চালাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। প্রতিবেদন আরো বলছে, চাইলেও তল্লাশি করতে পারছে না বাংলাদেশের নৌবাহিনী। বর্ষবরণের উৎসবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতে নাশকতার ষড়যন্ত্র চালাতে পারে পাকিস্তান, এমন জল্পনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফ্যাক্ট চেক বলছে, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে কনটেইনারবাহী জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং। এবার জাহাজটিতে চিনি, আখের গুড়, ডলোমাইট, সোডা অ্যাশ, থ্রি-পিস, খেজুর ছাড়াও নানা ধরনের পণ্য এসেছে। এসব পণ্যের ৮৬ শতাংশই পাকিস্তান থেকে এসেছে।স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে জাহাজে কোন বিস্ফোরক দ্রব্য আসে নি। ভারতের গণমাধ্যমের এমন মিথ্যাচার সংবাদের প্রতিবাদে দেশজুড়ে উঠে তীব্র নিন্দার ঝড়।বিগত শেখ হাসিনা সরকারের পলায়নের পর থেকেই মূলত ভারতের গণমাধ্যমগুলো লাগাতার মিথ্যাচার করে যাচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে।তাই ভারতের গণমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়ার প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও ভিত্তিহীন।