দিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন মনমোহন সিংয়ের
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিল্লি নিগম বোধ ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টি (সিপিপি) সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আজ সকালে কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে মনমোহন সিংয়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিগমবোধ ঘাটে। গতকাল শুক্রবার প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার সকালে তার বাসভবনে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। আলাদা করে যান রাহুল গান্ধীও। এদিকে প্রয়াত মনমোহন সিংহের স্মৃতিসৌধের জন্য জায়গা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি লিখেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কংগ্রেসের দাবি ছিল, এমন এক স্থানে মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হোক যেখানে তাঁর সম্মানে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা যাবে। এই নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগও ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কংগ্রেস এবং মনমোহন সিংয়ের দাবি মেনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধের জন্যে জমি দেওয়া হবে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে পিআইবি-র মাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টা ১০ মিনিটে মনমোহন সিংকে দিল্লির এইমসের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়ে। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৪ ও ২০০৯ সালে পরপর দুইবার প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং। তার আগে ১৯৯১ সালে সেসময়ের কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাওয়ের সময় মনমোহন সিং ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। তখন দেশের আর্থিক অবস্থা চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। মনমোহন কোটা-লাইসেন্সরাজ শেষ করে উদার অর্থনীতির পথে দেশকে নিয়ে আসেন। তারপর ভারতীয় অর্থনীতিকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। মনমোহনের মৃত্যুতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত। এছাড়া সাত দিন দলের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছে কংগ্রেস।