ভারতের ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অধিনায়কের’ স্মরণীয় দিন
ক্রিকেট ইতিহাসের ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অধিনায়ক’ মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য আজকের দিনটি স্পেশাল। ২০০৪ সালের এই দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ‘মিস্টার কুল’ খ্যাত ধোনির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর ভারতকে অধিনায়ক হিসেবে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি উপহার দিয়ে কিংবদন্তিদের কাতারে চলে যান ধোনি। তার নেতৃত্বে ভারত প্রথমবার আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে পৌঁছায়। ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় ধোনির। অভিষেক ম্যাচে ০ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন ভারতীয় এই সফল অধিনায়ক। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৫০ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১০টি সেঞ্চুরি আর ৭৩টি ফিফটির সাহায্যে ১০ হাজার ৭৭৩ রান করেন ধোনি। ওয়ানডেতে অভিষেকের ২১ দিন আগে ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় ধোনির। টেস্টে ৯০ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৬টি সেঞ্চুরি আর ৩৩টি ফিফটির সাহায্যে ৪ হাজার ৮৭৬ রান করেন তিনি। আর ৯৮টি টি-টোয়েন্টিতে সংগ্রহ করেন দুই ফিফটিতে ১৬১৭ রান। ব্যাট হাতে সফল্যের পাশাপাশি উইকেটের পেছনে বরাবরই সফল ছিলেন ধোনি। ধোনি তার ব্যতিক্রমী উইকেটকিপিং দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। টেস্টে ৪৪৪টি ডিসমিসাল ও ৩২১টি ক্যাচ ধরেন, ওয়ানডেতে ২৫৬টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি ৩৮টি স্টাম্পিং করান। টি-টোয়েন্টিতে ৯১টি ডিসমিসাল আর ৫৭টি ক্যাচ ধরেন। ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে রেকর্ড ২০০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১১০ খেলায় জয় উপহার দেন ধোনি। টেস্টে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ২৭টিতে জয় উপহার দেন ধোনি। তার অধিনায়কত্বে মাত্র ১৮ টেস্টে হারে ভারত। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের হয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭২ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন ধোনি। তার অধিনায়কত্বে ৪১ ম্যাচে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। তার অধিনায়কত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। শুধু জাতীয় দলেই নয়, টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর আইপিএলে ১০ আসরে ফাইনালে নেতৃত্ব দেন ধোনি। তার অধিনায়কত্বে চেন্নাই সুপার কিংস ৫টি শিরোপা ঘরে জিতে। ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া সত্ত্বেও ধোনি আইপিএলে এখনো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে পারফর্ম করছেন।