বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ ট্রেইনি চিকিৎসকদের
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ও বিসিপিএস’র অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। আজ রোববার দুপুর থেকে ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন লোকজন। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানান, চিকিৎসদের অবস্থানের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ আজ দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসকরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছেন। আমরা কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’ এর আগে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সময় বেধে দেন চিকিৎসকরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় সারাদেশে আবারও কর্মবিরতিতে নেমেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির (ডিএমজেএস) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। পরে ঢাকার বিএসএমএমইউয়ের বটতলায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তাররা। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, ‘আমরা আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম সরকারকে। এখন সরকার যদি আমাদের সঙ্গে বসতে চায় তাহলে সেই দরজা খোলা। আর যদি বসতে না চায় তাহলে সমাধান হবে রাস্তায়।’ তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ছয় জনের একটি প্রতিনিধিদলকে ডাকা হয়েছে। জাবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের ডেকেছে মন্ত্রণালয় থেকে, প্রতিনিধি দল নিয়ে আমরা সেখানে যাচ্ছি।’ ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ২০২২ সাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ২০২৩ সালের জুন মাসে এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক। এরপরও বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালের গেটে, শাহবাগে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেছেন, পালন করেছেন গণঅনশন কর্মসূচি। আন্দোলনের পর গত বছরের জুলাইয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ওই ভাতাও ‘যৌক্তিক নয়’ বলে দাবি করে আসছিলেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এর আগে তারা ২০ হাজার টাকা ভাতা পেতেন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও ভাতা বাড়ানোর দাবি নিয়ে ট্রেইনি চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়।