দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তান থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে ভিড়লো জাহাজ
পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে দ্বিতীয়বারের মত এলো কন্টেনারবাহী জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝাং’। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে এসে পৌঁছায়। এবার প্রথমবারের চেয়ে দ্বিগুন পণ্য বহন করেছে জাহাজটি। আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত চিনি, খাদ্যপণ্য, ফেব্রিক্স, কাচশিল্প ও পোশাক শিল্পের কাঁচামাল। রবিবার বন্দর জেটিতে ভিড়িয়ে এসব পণ্য খালাস করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জাহাজটির পরিচালনাকারী শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা যায়, এবার এসেছে মোট ১০৫৬ টিইউএস কন্টেনার। এরমধ্যে খালাস হবে ৮১১ টিইউএস। আমদানি পণ্যের ৮৫ ভাগই পাকিস্তান থেকে আসা। বাকিগুলো এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে। বন্দরের এনসিটিতে (নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল) ভেড়ানোর হবে জাহাজটি। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে আজ রবিবার জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্বিতীয়বারের মত আসা জাহাজের ২৮৫টি কন্টেনারে রয়েছে সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি। এসব চিনির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আরএফএল-প্রাণ, শেহজাদ ফুড প্রডাক্টস, সেভয় আইসক্রিম ও ব্রডওয়ে ইন্টারন্যাশনাল। কাঁচ শিল্পের কাঁচামাল ডলোমাইট রয়েছে ১৭১ কন্টেনারে, যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নাসির ফ্লোট গ্লাস ও আকিজ গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ। সোডা অ্যাস এসেছে ১৩৮ কন্টেনারে। এগুলো আমদানি করেছে নাসির ফ্লোট গ্লাস। এছাড়া এসেছে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, যার মধ্যে ৪৬ কন্টেনারে রয়েছে কাপড়ের রোল। খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে ২৮ কন্টেনারে আলু ও ২০ কন্টেনারে আখের গুড়। আরও যে কয়টি পণ্য এসেছে তারমধ্যে আছে- পুরানো লোহার টুকরো (স্ক্র্যাপ), থ্রিপিসসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক-পরিচ্ছদ। উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রামে এসেছে জাহাজটি। এ জাহাজে দুবাই থেকে তোলা হয়েছে ১০ হাজার চিনি এবং খেজুরসহ কয়েক ধরনের খাদ্যপণ্য। এছাড়া কিছু যন্ত্রাংশ ও লুব অয়েলও আমদানি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে ট্রেড ভলিউম কম থাকায় এতদিন পর্যন্ত সরাসরি জাহাজ চলাচলের প্রয়োজন পড়েনি। করাচি বন্দর থেকে পণ্যভর্তি কন্টেনার চট্টগ্রামে আসছিল শ্রীলংকার কলম্বো বন্দর হয়ে। অতিসম্প্রতি পাকিস্তানের করাচি রুট খুলেছে। বাণিজ্যের আকারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়লে এ রুটে নিয়মিতভাবে জাহাজ চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।