আবাহনীর প্রথম ‘ঐতিহাসিক’ জয় কিংসকে হারিয়ে
টানা ৫ বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের হলোটা কী? তারা কি ইপিএলের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির মতো হয়ে গেল? এমন প্রশ্নই ঘুরছে কিংসের ফ্যানদের মুখে। যে দলের কখনো এক লিগে দুই বার হারের রেকর্ড ছিল না, তারাই কি না চলতি লিগে চার ম্যাচের মধ্যে দু’টিতেই হেরেছে! শুক্রবার এমনটাই ঘটেছে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ আবাহনী লিমিটেড ঢাকার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে তারা। ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে আবাহনী। আর সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে কিংস। আবাহনীর জয়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলা যেতেই পারে। কেননা বিপিএল ফুটবলে আবির্ভাবের পর থেকে কিংসের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি আবাহনী। আগের ১০ মোকাবিলায় ৮টিতেই হার, ২টি ড্র। তবে এবার একাদশ সাক্ষাতে এল তাদের বহু প্রতীক্ষিত ‘ঐতিহাসিক ও ‘প্রথম’ জয়। তাও আবার বিদেশী ছাড়াই! ১৭ দিনের ব্যবধানে তিনটি হার দেখল কিংস। মাঝে ফেডারেশন কাপে ফর্টিসের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল তারা। চলমান লিগে কিংসের এটা চতুর্থ ম্যাচে দ্বিতীয় হার। এর আগে ১০ জনের মোহামেডানের কাছে হারের স্বাদ পেয়েছিল তারা। আর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১০ ম্যাচে ষষ্ঠ হার (এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ৩, ফেডারেশন কাপে ১ ও লিগে ২ হার)। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পায় ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী। গোল করেন ফরোয়ার্ড সুমন রেজা, যিনি এর আগে দুই মৌসুমে কিংসের হয়ে খেলেছেন। গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ‘দ্য কিংস’ খ্যাত বসুন্ধরা। একের পর এক আক্রমণ শাণায় তারা। ৫২ মিনিটে পেনাল্টিও পায় তারা। আছে সমতায় ফেরার সূবর্ণ সুযোগ। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা! মিগুয়েল ফেরেরা পেনাল্টি মিস করে বসেন। বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে রক্ষা করেন আবাহনী গোলরক্ষক মিতুল মারমা।