ঘাতক প্রাইভেটকারের ভেতর ছিল বিয়ারের ক্যান-মদের বোতল

২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩০০ ফিট সড়কে পুলিশ চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বুয়েটের আরও দুই শিক্ষার্থী। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে এক ক্যান বিয়ার ও একটি খালি মদের বোতল পাওয়া গেছে। নিহত মুহতাসিম মাসুদ (২২) বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি রাজধানীর কলাবাগান থানার গ্রিনরোড এলাকার বাসিন্দা মাসুদ মিয়ার ছেলে। আহত দুজন মেহেদী হাসান খান (২২) ও অমিত সাহা (২২) সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত অমিত সাহা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার তপন কুমার সাহার ছেলে এবং মেহেদী হাসান কুমিল্লা সদরের মফিজুর রহমান খানের ছেলে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন নিহত মাসুদের বাবা মাসুদ মিয়া। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মুবিন আল মামুন, তার দুই বন্ধু মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরী। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার মুবিন আল মামুন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে এবং তিনিই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন। প্রাইভেট কারটির রেজিস্ট্রেশনও সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তার নামে। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন মাসুদ। পরে তিন বন্ধু মিলে ৩০০ ফুট সড়কে ঘুরতে বের হন। সেখানে নীলা মার্কেটে তারা রাতের খাবার খান। পরে বাসায় ফেরার সময় নীলা মার্কেটের অদূরে একটি পুলিশ চেকপোস্টে তাদের থামানো হয়। ভোর রাত ৩টার দিকে পুলিশ চেকপোস্টে দাঁড়ানো অবস্থায় বেপরোয়া গতির একটি প্রাইভেটকার সেই চেকপোস্ট অতিক্রম করে মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাসুদ মারা যান। নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ডোপ টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবার সকালে রূপগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন।