নিলামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তুলে নিল ২০৮৩ কোটি টাকা

২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের পাঁচটি নিলামে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত বুধবার ৫০০ কোটি টাকা তুলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ৬টি ব্যাংককে যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে, মূল্যস্ফীতিতে তার প্রভাব এড়াতে উদ্বৃত্ত তারল্য থাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ধারের মাধ্যমে টাকা তুলছে। আইএমএফও চায় নিলামের মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা উঠে আসুক। এ ছাড়া বর্তমান বাস্তবতায় নতুন করে বাজারে যেন বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য সহায়তা না দেয়, তার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। জানা গেছে, আইএমএফ প্রতিনিধি দলের গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সমাপনী বৈঠকে নতুন করে কোনো ধরনের তারল্য সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করা হয়। ইতোমধ্যে দেওয়া টাকা যত দ্রুত সম্ভব বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে টাকা তোলার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ট্রেজারি বিল ও বন্ডের নিয়মিত নিলামের পাশাপাশি এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের বিপরীতে বাজার থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। চলতি মাসে চারটি নিলামের সবই হচ্ছে ৯০ দিন মেয়াদি। আগামী বৃহস্পতিবার সর্বশেষ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। গত বুধবার ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ সুদে ৫০০ কোটি টাকা তোলা হয়। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ১১ ডিসেম্বর ৩৩০ কোটি এবং ৫ ডিসেম্বর ৩০০ কোটি টাকা নেয় ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ সুদে। আর ৩০ দিন মেয়াদি নিলামের বিপরীতে ২৭ নভেম্বর ৪৫৩ কোটি এবং ২০ নভেম্বর ৫০১ কোটি টাকা উত্তোলন হয়েছে। সুদহার ছিল ১১ দশমিক ১০ শতাংশ। ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দেন, নতুন করে টাকা ছাপিয়ে কাউকে ঋণ দেওয়া হবে না। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ভালো ব্যাংক থেকে দুর্বল কয়েকটি ব্যাংককে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সেই উদ্যোগে তেমন সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬টি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে আছে। এ সময়ে সরাসরি টাকা ছাপলে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো যদি দীর্ঘদিন ধরে আমানতকারীর টাকা ফেরতে ব্যর্থ হয়, পুরো খাতে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। উভয় সংকটে পড়ে দুর্বল কয়েকটি ব্যাংককে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া হয়। তবে সামগ্রিকভাবে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর উদ্যোগ চলমান আছে।