নিজাম হাজারীর ৫৪৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

গতকাল দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র আক্তার হোসেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসামিরা এমপি থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এদিকে দুদক পরিচালক আবুল হাসনাত বাদী হয়ে ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন। এজাহারে বলা হয়, তিনি অপরাধমূলক অসদাচারণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড থেকে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। নিজের নামে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৩টি ব্যাংক হিসাব এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা জমা করেন। উত্তোলন করেন ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা। অনুসন্ধানে এটি সন্দেহজনক লেনদেন হিসেবে প্রমাণ মেলে। জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক। গতকাল কমিশন এই অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুসন্ধানের লক্ষ্যে উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের রেহাই দেবে না দুদক এখন থেকে দুদক আমলাদের দুর্নীতি অনুসন্ধান জোরদার করবে। গতকাল দুদকের মুখপাত্র জানান, টিআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থার ভাষ্যমতে ও গণমাধ্যমে আমলাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অনাগ্রহের বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় এসেছে। আমলাতন্ত্রের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট এবং বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ কমিশনে দাখিল হলে বা কমিশনের নজরে এলে এ বিষয়ে কমিশন দ্রুত যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।