পদ্মা রেল সংযোগে ট্রেন চলাচল শুরু ২৪ ডিসেম্বর, পৌনে ৪ ঘণ্টায় ঢাকা-খুলনা
আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা রেল সংযোগে। রেলওয়ের জনসংযোগ বিভাগ বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা-খুলনা রুটে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’, ঢাকা-বেনাপোল রুটে ‘রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ নামের নতুন দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলবে। খুলনা যেতে পৌনে ৪ ঘণ্টা এবং বেনাপোল যেতে ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লাগবে। গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাচ্ছে খুলনা, বেনাপোলে। এই রুটের ট্রেনগুলো পদ্মা সেতু রেল সংযোগের ভাঙ্গা জংশন থেকে পোড়াদহ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ঘুরে গন্তব্যে যায়। এতে সময় লাগে আট ঘণ্টা। আর যেসব ট্রেন পুরনো পথে যমুনা সেতু ঘুরে যায়, সেগুলোতে সময় লাগে ১৪ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার নতুন রেলপথের পুরোটা নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায়, ২৪ ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন ভাঙ্গা থেকে কাশিয়ানী, লোহাগড়া, নড়াইল, সিঙ্গিয়া, নোয়াপাড়া হয়ে চলবে। গত ২৪ নভেম্বর সকাল ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত চলে পরীক্ষামূলক ট্রেন। সেই যাত্রায় সময় লেগেছিল সাড়ে তিন ঘণ্টা। রেলওয়ে জানিয়েছিল ২ ডিসেম্বর ট্রেন চলাচল শুরু হবে পদ্মা রেল সংযোগে। জনবল সঙ্কটে তা হয়নি। রেলওয়ে জানিয়েছে, খুলনা থেকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোর ৬টায় ছেড়ে সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকা পৌঁছাবে। ঢাকা থেকে রাত ৮টায় যাত্রা করে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনা পৌঁছাবে। বিরতি দেবে নোয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশনে। বেনাপোল থেকে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৩টায় যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে। ঢাকা থেকে সকাল পৌনে ১১টায় যাত্রা করে দুপুর আড়াইটায় বেনাপোল পৌঁছাবে। বিরতি দেবে যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন। দুটি ট্রেনেই আসন সংখ্যা ৭৬৮। সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। আগামী ২১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে সংশ্লিষ্ট স্টেশনের কাউন্টার এবং অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাবে জাহানাবাদ এবং রুপসী বাংলার টিকিট।